বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯০, আহত অন্তত ৫০

শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা সোমবার বেড়ে দাঁড়াল ২৯০। রবিবারের আটটি বিস্ফোরণের ধাক্কায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। হাসপাতালে লড়াই করছেন অনেকেই।
বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা সোমবার বেড়ে দাঁড়াল ২৯০। রবিবারের আটটি বিস্ফোরণের ধাক্কায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। কলম্বো-সহ দেশের একাধিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন অনেকেই।

এ দিন তার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড থেকে এ দিন শ্রীলঙ্কা পুলিশ ৮৭টি ডিটোনেটর উদ্ধার করেছে। কলম্বো বিমানবন্দরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরক ভরা ছ’ফুট লম্বা একটি প্লাস্টিকের পাইপ। এ দিনও এক গির্জার সামনে পড়ে থাকা ভ্যানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার সময় আরও একটি বিস্ফোরণ হয়। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

সোমবার মাঝরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দেশ জুড়ে শর্তাধীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় শোকদিবস। শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে মাঝরাত থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হচ্ছে, ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও উদ্দেশ্য তাদের নেই।

বিশ্বের অন্যান্য খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এরই মধ্যে এই জঙ্গি হামলার পিছনে ‘ন্যাশনাল তৌহিত জামাত’ (এনটিজে) নামে একটি সংগঠনের দিকেই সোমবার আঙুল তুলেছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। স্থানীয় ওই গোষ্ঠীটির পিছনে আন্তর্জাতিক চক্রের হাত রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। বিস্ফোরণের ছ’টি জায়গা থেকে পাওয়া দেহাংশের নমুনা পরীক্ষা করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাত জন আত্মঘাতী বোমাবাজ সেখানে হামলা চালিয়েছে।

দিন দশেক আগে হামলার আশঙ্কায় পুলিশ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, এনটিজে দেশের বিভিন্ন গির্জায় আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছে। এমনকি কলম্বোয় ভারতীয় দূতাবাসেও হামলা হতে পারে। সেই তথ্য হাতে আসার পরেও প্রশাসন কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এখন উঠছে সেই প্রশ্ন।

রবিবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে জানিয়েছিলেন, আগাম সতর্কবার্তা সম্পর্কে তাঁকে বা তাঁর মন্ত্রকের কাউকেই কিছু জানানো হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’’

আগামী বছর শ্রীলঙ্কায় সাধারণ নির্বাচন। এই বিস্ফোরণের জেরে সরকারের অন্দরে রাজনৈতিক সঙ্কট ফের প্রকট হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি স্তরে বিস্ফোরণের সতর্কবার্তা না পৌঁছনো নিয়ে এখন তাই পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে।

কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।

রনিল বিক্রমসিংহে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 23, 2019 1:35 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন