বিজ্ঞাপন

হামিদ কারজাই-তালিবান কমান্ডার সাক্ষাৎ, লক্ষ্য সরকার গঠনের

হামিদ কারজাই-তালিবান কমান্ডার সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হচ্ছে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জল্পনা। আফগানিস্তান পুরোপুরি চলে গিয়েছে তালিবানদের দখলে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হামিদ কারজাই-তালিবান কমান্ডার সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হচ্ছে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জল্পনা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গত রবিবার তালিবানরা কাবুল দখল করার সঙ্গে সঙ্গেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আফগানিস্তান পুরোপুরি চলে গিয়েছে তালিবানদের দখলে। এখনও অশান্ত গোটা দেশ। দলে দলে মানুষ পালাচ্ছে। মহিলারা গৃহবন্দি। পালানোরও উপায় নেই। বাচ্চাকে ফেলে যাচ্ছে মাঝ পথে। এমন সব মর্মান্তিক দৃশ্য, ছবি প্রতিদিন উঠে আসছে গোটা বিশ্বের সামনে। তালিবানরা রাজত্ব করবে আফগানিস্তানে। সেই লক্ষ্যেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও তালিবান কমান্ডার ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান আনাস হাক্কানি আলোচনায় বসেন‌। বেশ কিছুক্রণ চলে সেই বৈঠক।

আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেখানে সরকার গঠন করতে চাইছে তালিবানরা। এই বৈঠকে ছিলেন আশরফ গনি সরকারের শান্তিদূত আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ। তবে এই আলোচনার মাধ্যমে কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই বৈঠক আফগানিস্তানের পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে তালিবানদের কাবুল দখলের পর সে দেশে পা রেখেছেন মুল্লা আবদুল ঘনি বরাদর। যার আগমনে মনে করা হচ্ছে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনিই। যদিও তিনি কাবুলে নয় কাতার থেকে কান্দাহারে পৌঁছন।

এর মধ্যেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশ এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে কাবুল। যেখানে শান্তিতে দখল প্রক্রিয়া চালানোর কথা বলেছিল তালিবানরা। কিন্তু তারা কাবুল দখলের পর থেকেই সেখানে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি। এদিন সাহস করে একটা দল তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রদর্শন দেখাতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটে জালালাবাদে। কাবুলের আগে শেষ শহর যেটা দখল করেছিল তালিবানরা। দেশের পতাকা সরিয়ে তালিবানি পতাকা লাগানোর বিরুদ্ধে হয় প্রতিবাদ। এমনকি তালিবান পতাকা সরিয়ে দেশের পতাকা লাগানোর চেষ্টা করে প্রতিবাদীরা। কিন্তু সেই প্রতিবাদীদের উপর গুলি চলে। পদযাত্রা বন্ধ হয়ে গেলেও স্লোগান চলতে থাকে। সাংবাদিকদের উপরও হামলা হয় বলে অভিযোগ।

এই প্রথম তালিবানদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল স্থানীয় মানুষ। এদিকে তালিবানদের ধ্বংসলীলা এখনও চলছে মুখে যতই শান্তির কথা বলুক না কেন। বামিয়ানে হাজারা লিডার আব্দুল আলি মাজারির মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর আগের সব ঐতিহাসিক মনুমেন্ট ধ্বংস করে দিয়েছিল তারা। এর আগে সব সরকারিকর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল তালিবানরা। এমনকী মহিলাদেরও যোগ দিতে বলা হয়েছিল শারিয়া আইন মেনে। যদিও বলা হচ্ছে ২০ বছর আগের তালিবান আর এই তালিবানের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এরা অনেক শান্তিপ্রিয় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে আগের মতো নয়। তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা হবে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ক’দিন যেতেই আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে তাদের। বোরখা না পরায় খুন করা হয়েছে এক মহিলাকে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন