বিজ্ঞাপন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দিলেন অমিত শাহ

কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপির যুব মোর্চার সভা ছিল।
বিজ্ঞাপন

মেয়ো রোডের সভায় অমিত শাহ। বিজেপির টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে বিজেপির যুব মোর্চার সভা ছিল। সেখানেই অমিত বলেন, ‘‘এ রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলবই আমরা।’’

অমিত এ দিন মঞ্চ থেকে অভিযোগ তোলেন, তাঁর সভায় লোক আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। দিকে দিকে পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। বিজেপির দাবি, এ দিনের সভায় প্রায় ৩ লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছে। তৃণমূলের তরফে যদিও টুইট করে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি যুব মোর্চার এ দিনের সভা রীতিমতো ‘ফ্লপ শো’ হয়েছে। আর সেটা ঢাকতেই তৃণমূলের উপর দায় চাপানো হচ্ছে।

এ দিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছিলেন অমিত শাহ। সেখানে তাঁকে কালোপতাকা দেখিয়ে ধিক্কার জানায় যুব কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত বিরোধী শ্লোগান তোলে তারা। মাঝে বাইক দিয়ে অমিতের কনভয় আটকানোর চেষ্টাও হয়। কিন্তু, পুলিশ তৎপর হয়ে তাঁর কমভয় এগিয়ে নিয়ে যায়।

পশ্চিমের খোলস ছেড়ে রাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলা

যুব মোর্চার সভায় ভাষণ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য-সহ বিজেপির যুব মোর্চার সভানেত্রী পুনম মহাজন। পুনম এ দিন সভা থেকে বলেন, ‘‘দিদির মধ্যে কোনও মমতা নেই। কাজেই মা-মাটি-মানুষের সরকার চলছে এটা বলা যাবে না। গোটাটাই মানুষের বিরোধী।’’

পুনমের পরেই বলতে ওঠেন অমিত। তিনি প্রথমেই সমাবেশের ভিড় দেখে মন্তব্য করেন, ‘‘এই সমাবেশ বুঝিয়ে দিচ্ছে এ রাজ্য থেকে তৃণমূলের সরকার উৎখাত হবেই।’’ এর পর তিনি মমতার সরকারকে উৎখাত করার ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘‘আগে এই রাজ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনা যেত। এখন বোমা-গুলির আওয়াজ শোনা যায়।’’

অমিত এ দিন অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়েও কথা বলেন। আইনি ভাবে সে রাজ্যে নাগরিকপঞ্জিকর কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের হঠাতে নাগরিকপঞ্জির কাজ শেষ করবই। কারও বিরোধিতাই ওই কাজ আটকাতে পারবে না।’’

বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের এ দেশের নাগরিকত্ব দিতে নতুন বিল আনা হবেও বলেও ঘোষণা করেন অমিত। তিনি বলেন, ‘‘ওই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব কেউ আটকাতে পারবে না। আমরা শরণার্থীদের পাশে, অনুপ্রবেশকারীদের পাশে নই।’’

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন