বিজ্ঞাপন

স্কুলের বাথরুমে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, কব্জিতে ক্ষত, মুখে প্লাস্টিকের ব্যাগ!

স্কুলের বাথরুমে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হল কলকাতার রানিকুঠিতে। শৌচাগারে যখন তার দেহ উদ্ধার করা হয়, তখন তার মুখে বাঁধা প্লাস্টিকের ব্যাগ।
বিজ্ঞাপন

স্কুলের বাথরুমে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্কুলের বাথরুমে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হল কলকাতার রানিকুঠিতে। শৌচাগারে যখন তার দেহ উদ্ধার করা হয়, তখন তার মুখে বাঁধা প্লাস্টিকের ব্যাগ। ওই শৌচাগার থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গিয়েছে। সেটি তিন পাতার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রী কৃত্তিকা পাল রানিকুঠির নামী ওই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। শুক্রবার সকালে সে স্কুলে আসে। দুপুর পর্যন্ত সব ক্লাসই করে। বেলা দেড়টা নাগাদ কৃত্তিকা বাথরুমে যায়। কিন্তু আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও সে ফেরে না। এর পরই তাঁর খোঁজ শুরু হয়। বেলা আড়াইটে নাগাদ এক স্কুল কর্মী বাথরুমে গিয়ে দেখেন তার দরজা বন্ধ। এর পর তিনি পিছনের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, মুখে প্লাস্টিকের ব্যাগ মোড়ানো অবস্থায় কৃত্তিকা মেঝেতে পড়ে আছে। এর পর দরজা ভেঙে কৃত্তিকাকে উদ্ধার করা হয়।

নিস্তেজ ওই ছাত্রীকে এর পর যোধপুর পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা কৃত্তিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার মাথায় মোড়ানো প্লাস্টিকের ব্যাগ। সেই ব্যাগটা কৃত্তিকার গলার কাছে গিঁট বাঁধা অবস্থায় ছিল। হাতের কব্জির কাছ থেকে রক্ত পড়ছে। চিকিৎসকেরা জানান, ওই ছাত্রীর হাতের ক্ষত তেমন গুরুতর ছিল না। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শ্বাসরোধের কারণেই কৃত্তিকার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কোনও কিছুই বলতে রাজি নয় পুলিশ।

আরও পড়তে…
প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ঊষসী সেনগুপ্ত কলকাতার রাস্তায় হেনস্থার শিকার, ফেসবুকে লিখলেন…

বাথরুম থেকে যে তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ মিলেছে, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।’ ওই নোটের প্রতিটি অংশই হতাশায় ভরা। কৃত্তিকা স্কুলে নিয়মিত ভাল ফল করত। তবে কি মানসিক চাপের ফলেই সে নিজেকে শেষ করে দিল? প্রশ্নটা রয়েছে তদন্তকারীদের সামনে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

গোয়েন্দাদের একাংশের ধারণা, পড়াশোনা সংক্রান্ত মানসিক চাপ সামলাতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল কৃত্তিকা। তবে তার লেখা চিঠিটির লাইনে লাইনে যে ভাবে হতাশার কথা রয়েছে, তা দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ পড়াশোনার বাইরে ওই ছাত্রী অন্য কোনও রকম চাপে ছিল। সবটাই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

0
0

This post was last modified on June 22, 2019 2:11 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন