বিজ্ঞাপন

কৃষ্ণা বসু প্রয়াত, শিক্ষাবিদ থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে শেষ হল একটা যুগের

কৃষ্ণা বসু শেষ মারা গেলেন ৮৯ বছর বয়সে। বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ একটা সময় পা রেখেছিলেন রাজনীতির জগতেও। কংগ্রেস থেকে একটা সময় চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলে।
বিজ্ঞাপন

কৃষ্ণা বসু

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কৃষ্ণা বসু শেষ মারা গেলেন ৮৯ বছর বয়সে। বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ একটা সময় পা রেখেছিলেন রাজনীতির জগতেও। কংগ্রেস থেকে চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ওই হাসপাতালে। শনিবার সকাল ১০টা ২০ নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসাপাতাল থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এলগিন রোডের বাড়িতে। সেখানেই বিকেল পর্যন্ত সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। এর পর নিয়ে যাওয়া হয় এলগিন রোডেরই নেতাজি ভবনে। এর পর ক্যাওড়াতলা শ্মশানে শেষ কৃত্য হবে তাঁর। এ দিন বিকেলে কৃষ্ণা বসুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৩০-এর ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহন করেছিলেন কৃষ্ণা বসু। এর পর উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে পড়ানোর কাজে ব্রতী হন তিনি। সিটি কলেজে দীর্ঘ দিন অধ্যাপনা করেন তিনি। ওই কলেজের অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের হয়ে জিতে লোকসভায় যান সাংসদ হিসেবে। এর পর চলে যান তৃণমূলে। সেখানেও তিনি দু’বার সাংসদ হন। তাঁর হাত ধরেই ছেলে সুগত বসু তৃণমূলে যোগ দেন। তিনিও যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী আগেই টুইটারে শোক জ্ঞাপন করেন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘আমি এক জন শ্রদ্ধার, ভালবাসার মানুষকে হারালাম। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী ডঃ শিশির বসুর স্ত্রী কৃষ্ণা বসুর অকাল প্রয়াণে আমি শোকাহত।’’

১৯৩০-এর ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহন করেছিলেন কৃষ্ণা বসু। এর পর উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে পড়ানোর কাজে ব্রতী হন তিনি। সিটি কলেজে দীর্ঘ দিন অধ্যাপনা করেন তিনি। ওই কলেজের অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের হয়ে জিতে লোকসভায় যান সাংসদ হিসেবে। এর পর চলে যান তৃণমূলে। সেখানেও তিনি দু’বার সাংসদ হন। তাঁর হাত ধরেই ছেলে সুগত বসু তৃণমূলে যোগ দেন। তিনিও যাদবপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন।

নেতাজির পরিবারের বধূ হওয়ার সূত্রে সামাজিক মর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে তিনি অনেক সমাজ সংস্কারক কাজেও হাত দিয়েছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুর ছেলে শিশির বসুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কবিতা, সাহিত্যের জগতেও তাঁর প্রভাব কিছু কম ছিল না। একাধিক বই রয়েছে কৃষ্ণাদেবীর।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

 

0
0

This post was last modified on February 22, 2020 5:35 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন