বিজ্ঞাপন

বিধানসভায় গন্ডগোল, একে অপরের দিকে রুখে ওঠা বিধায়কদের সামলালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভায় গন্ডগোল বিধায়কদের মধ্যে। আর সেই গন্ডগোল শেষমেশ থামাতে ওয়েলে নেমে আসতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিধানসভায় গন্ডগোল বিধায়কদের মধ্যে। আর সেই গন্ডগোল শেষমেশ থামাতে ওয়েলে নেমে আসতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার এমন ঘটনার সাক্ষী হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা।
এ দিন বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিকেই ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেই সময় মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক প্রশ্ন করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

পরিবহণ দফতরে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে কি না সে প্রশ্ন করেন তিনি। পরিবহণমন্ত্রীকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘পরিবহণ দফতরে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন অভিযোগ আসছে। এটা কি সত্যি?” প্রশ্ন শুনেই কার্যত ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দু। এ রকম কোনও অভিযোগ থাকলে প্রমাণ করার কথা প্রতিমা রজককে বলেন তিনি। যদি না পারেন, তা হলে বিধানসভাতেই প্রতিমাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

মন্ত্রীর এমন মন্তব্য শুনে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। ছুটে যান মন্ত্রীর বসার জায়গার দিকে। তাঁকে অমনটা করতে দেখে বেরিয়ে আসেন শাসক দলের বিধায়করা। যোগ দেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করাও। রীতিমতো হাতাহাতির উপক্রম হয়। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস দু’পক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তীও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, হাতাহাতি সামাল দিতে থাকেন।

বিরোধীরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন। তখন পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তিনি অনুরোধ করেন, নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে। নিজের দলের বিধায়কদেরও তিনি নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে বলেন। তাঁর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।

(বাংলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on September 7, 2019 3:15 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন