জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্ৰেফতার । যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার সাঁতারের সেই কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। বুধবার বাংলার এক কিশোরী সাঁতারু তাঁর কোচের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে। তার পর রিষড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করে ওই কিশোরীর পরিবার। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে গোয়া পুলিশ।
এর পর গোয়া পুলিশের একটি দল সুরজিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। বেঙ্গালুরু ও ভোপালে পুলিশ পাঠানো হয়। এর পর এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
১৫ বছরের মেয়েটি ১০ বছর বয়স থেকে সাঁতার শিখছে এই কোচের কাছেই। কিন্তু এর পর এই কোচ গোয়া চলে যায়। এবং ছাত্রীকেও ডেকে নেয় গোয়ায়। মেয়ে ভেবেছিল আরও ভাল ট্রেনিং হবে সেখানে। দুস্থ পরিবার ঘটিবাটি বিক্রি করেই প্রায় চলে গিয়েছিলেন মেয়েকে নিয়ে গোয়ায়। কিন্তু মেয়ে হঠাৎই কেমন বদলে যেতে থাকে। ভয়ে কুঁকড়ে থাকে। একদিন সব সহ্যের বাধ ভাঙে এবং বাবা-মার কাছে সবটা বলে দেয় সেই মেয়ে।
তার আগেই বুদ্ধি করে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রেখেছিল সে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্যারের গলা পেয়েই সে ঘরের কোণায় মোবাইল ভিডিও অন-করে রেখে দেয়। এবং পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সেই ভিডিওতে। কী ভাবে সেই কোচ তার ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিচ্ছে। সেটা তাঁর বাবা-মাকে দেখায় কিশোরী। যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁরা।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
কোনও রকমে কলকাতায় ফিরে আসে তারা। রিষড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে প্রথম দিন অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পর দিন দুপুরে সেই অভিযোগ নেওয়া হয়। কঠিন শাস্তির কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সেই কোচকে তার আগেই গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে নির্বাসিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত ওই ছোট্ট মেয়ের লড়াই কাজে লাগল।
(কীভাবে সামনে এল কোচের ভয়ঙ্কর অন্যায়ের কথা)
This post was last modified on September 7, 2019 3:59 am