বিজ্ঞাপন

হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মঘাতী, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত তেমনই: রাজ্য

হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মঘাতী হয়েছেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মঘাতী হয়েছেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই দিন ভোরে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরের একটি দোকান থেকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, আত্মহত্যা করেছেন বিধায়ক। মৃত বিধায়কের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে তিনি দু’জনকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করেন। বিধায়কের পা ঝুলন্ত অবস্থায় মাটি থেকে ইঞ্চি সাতেক উঁচুতে ছিল। বাঁ হাত ছিল বাঁধা। এ ছাড়া তাঁর বুক পকেটে ছিল চশমা। সোমবার এমনটাই জানিয়েছিল পুলিশ।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ওই রাতেই দেবেন্দ্রনাথের ময়নাতদন্ত হয়। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে রাজ্য পুলিশ মনে করছে, ঘটনাটি একটি সম্ভাব্য আত্মহত্যার ঘটনা। যে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছেন, তাঁর লিখিত প্রাথমিক মতামতে তিনি জানিয়েছেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলেই মৃত্যু হয়েছে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। চিকিৎসার পরিভাষায় এটা ‘অ্যান্টি মর্টেম’ অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো হয়েছে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিধায়কের শরীরে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ১৫ ইঞ্চি লম্বা এবং আধ ইঞ্চি চওড়া ‘লিগেচার মার্ক’  অর্থাৎ ফাঁসের দাগ পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকের মত, সেই ফাঁসের দাগ টানা নয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘নন কন্টিনিউয়াস’। বিধায়কের পকেটে পাওয়া যাওয়া চিরকূট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, মৃতের পকেটে একটি কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দুই ব্যক্তির নাম, ছবি এবং মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে কিছু কথাও বলা হয়েছে। আলাপনবাবু জানিয়েছেন, ওই ব্যাক্তিরা প্যারা ব্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। স্বরাষ্ট্রসচিবের দাবি, এই ঘটনার আনুপুর্বিক এবং যথাবিহিত তদন্ত হবে। কোনও রাজনৈতিক বা বাইরের ফ্যাক্টর তদন্ত প্রভাবিত করবে না। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার সকল অস্বাভাবিক মৃত্যুর পূর্নাঙ্গ তদন্তে বিশ্বাসী।”

হেমতাবাদের বিধায়ক আত্মঘাতী হয়েছেন— ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সে কথা বলা হলেও গতকাল থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই ঘটনাকে ‘খুন’ বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল এ দিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি চিঠিও রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে ওই প্রতিনিধি দল।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 14, 2020 4:36 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন