বিজ্ঞাপন

ইরফান খান প্রয়াত, ৫৩ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু

ইরফান খান, গত দু’বছর ধরে লড়াই করছিলেন মারণ রোগের সঙ্গে। কিন্তু বড্ড দ্রুত সেই লড়াই শেষ হয়ে গেল। বুধবার মুম্বইয়ের কোকিলা বেন হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইরফান খান, গত দু’বছর ধরে লড়াই করছিলেন মারণ রোগের সঙ্গে। কিন্তু বড্ড দ্রুত সেই লড়াই শেষ হয়ে গেল। বুধবার মুম্বইয়ের কোকিলা বেন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে তাঁর কাছের মানুষদের সামনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। যাঁদের নিয়ে বাকি জীবনটা বাঁচতে চেয়েছিলেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার এক ঘণ্টা আগেই তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যে সেই লড়াই থেমে গেল।

লন্ডনেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কয়েকমাস আগেই ফিরেছিলেন মুম্বইয়ে। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সুতপা ও দুই ছেলেকে। মঙ্গলবারই বাড়িতে গুরুতর অসু্স্থ হয়ে পড়ায় তাঁরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকেই ছিলেন আইসিইউতে।


করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

ইরফান খানের উঠে আসা রাজস্থানের জয়পুর থেকে। এখনও সেখানে তাঁর পরিবারের লোকেরা রয়েছেন। শনিবারই জয়পুরের বাড়িতে প্রয়াত হন ইরফানের মা। কিন্তু লকডাউনের কারণে শেষ দেখা দেখতে পাননি, সেই যন্ত্রণায় ভুগছিলেন।

ইরফান খানের প্রয়ানে বলিউডে একটা বড় জায়গা খালি হয়ে গেল। তাঁর মতো এই পর্যায়ের প্রতিভাবাণ অভিনেতা খুব কম রয়েছেন। তাঁর অভিনীত পিকু জিতে নিয়েছিল সবার মন। ছবির পরিচালক সুজিত সিরকার সবার আগে টুইট করে ইরফানের প্রয়ানের খবর দেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু ইরফান, তুমি লড়াইয়ের পর লড়াই করে গিয়েছ। আমি তোমাকে নিয়ে সব সময় গর্বিত। আমাদের আবার দেখা হবে। সুতপা তুমিও সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করেছ। ইরফান খান স্যালুট।’’

টুইট করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি লেখেন, ‘‘ইরফানের মৃত্যুর খবর পেলাম। এটা খুব খারাপ খবর। অসাধারণ প্রতিভা, দারুণ সতীর্থ, বিশ্ব সিনেমায় অবদান রেখে যাওয়া একজন আমাদের দ্রুত ছেড়ে চলে গেল। বড় জায়াগ খালি হলে গেল।’’ পিকুতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।

২০১৮তে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ইংল্যান্ডেই ছিলেন। মাঝে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ফিরে ‘আংগ্রেজি মিডিয়াম’এর শুটিং করে আবার ফিরে যান। অস্ত্রোপচারের পর তিনি আবার দেশে ফেরেন গত সেপ্টেম্বরে। লকাউনের আগেই তাঁর এই ছবি রিলিজ করে। এই ছবি নিয়ে উত্তেজিত ছিলেন তিনি।

তাঁর কেরিয়ারের সেরা সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে লাঞ্চবক্স, জুরাসিক পার্ক, করিব করিব সিঙ্গল।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 29, 2020 3:18 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন