বিজ্ঞাপন

ওয়ারিনা হুসেন ও সেলিনা জেটলির স্মৃতিতে আজও চেনা আফগানিস্তান

ওয়ারিনা হুসেন-কে মনে পড়ছে বা সেলিনা জেটলি? হিন্দি সিনেমা যাঁরা দেখেন তাঁদের কাছে পরিচিত মুখ তিনি। সলমন খান প্রযোজিত ‘লভযাত্রী’ সিনেমার নায়িকা ওয়ারিনা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ওয়ারিনা হুসেন-কে মনে পড়ছে বা সেলিনা জেটলি?  হিন্দি সিনেমা যাঁরা দেখেন তাঁদের কাছে পরিচিত মুখ তিনি। সলমন খান প্রযোজিত ‘লভযাত্রী’ সিনেমার নায়িকা ওয়ারিনা। জীবনের একটা সময় কেটেছিল আফগানিস্তানে। ২০ বছর আগেও একবার তালিবানরা এই আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল। সেই বিভৎস সময়ের স্মৃতি আজও তাজা ওয়ারিনা ও তাঁর পরিবারের মনে। আরও একবার সেই একই দৃশ্য দেখতে পাচ্ছে। তবে এবার টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু টতবারই দেখছে ততবারই আঁতকে উঠছে লভযাত্রীর নায়িকা। সেই সময় ভাগ্যিস দেশে ছেড়েছিল ওয়ারিনার পরিবার, না হলে আরও একবার সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হত। সেটা ভেবেই য়েন আতঙ্ক গ্রাস করছে।

২০ বছর আগে তালিবানের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ওয়ারিনার পুরো পরিবার দেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। তার পর থেকেই এখানেই স্থায়ী বসবাস। আর সে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেনি তাঁর পরিবার। এখন ভারতকেই নিজের দেশ মনে করেন ওয়ারিনা। কিন্তু ছোটবেলার সেই আফগানিস্তানকে ভোলেন কী করে। টেলিভিশনের পর্দায় যতবার ভেসে উঠছে আফগানিস্তানের ছবি ততবার মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলার শহরকে। নিজে সেখানে না থাকলেও আতঙ্ক গ্রাস করছে।

তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে সব দেশের আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। তিনি সব রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন আফগানদের পাশে দাঁড়ান সবাই। তিনি জানেন, আবার তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর বাড়বে শরণার্থীর সংখ্যা। তিনি এও জানেন, এত শরনার্থীকে এক দেশে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। তবুও পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর আমার পরিবারের লোকেরা ভাগ্যবাণ। সেই সময় ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল।।’’ তবে ভাল আফগানিস্তানের স্বপ্ন আজও দেখেন ওয়ারিনা। এই শোষণ ও অত্যাচারের আফগানিস্তানকে তিনি দেখতে চান না।

আর এক অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির জন্ম আফগানিস্তানে। যদিও বহু বছর আগে তাঁরা সে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দাদু সেই সময় আফগানিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত না নিলে তাঁর জীবনটাও অন্যরকম হত। তবুও কোথাও একটা নাড়ির টান থেকে গিয়েছে। তাই সে দেশের এই ভয়ঙ্কর অবস্থা তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে এখনও। তিনি তাঁর রাগকেও চেপে রাখেননি। হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন তাঁদের কথা ভেবে যাঁরা তিল তিল করে দেশটাকে গড়ে তুলেছিলেন গত ২০ বছর ধরে। তাঁদের সব প্রচেষ্টা কয়েকমাসেই ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখে তিনি স্তম্ভিত।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on August 24, 2021 12:10 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন