বিজ্ঞাপন

লকডাউন স্টুডিওপাড়ায়, আপাতত ১৫ দিনের কথাই ঘোষণা

লকডাউন স্টুডিওপাড়ায় কিন্তু প্রথমে রাজ্যে ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরও বলা হয়েছিল করোনাবিধি মেনে শুটিং চলবে। তা নিয়েই উঠছিল প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: লকডাউন স্টুডিওপাড়ায় কিন্তু প্রথমে রাজ্যে ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরও বলা হয়েছিল করোনাবিধি মেনে শুটিং চলবে। তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল সঙ্গে সঙ্গেই। যেভাবে প্রশ্ন উঠছে মিষ্টির দোকানকে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার মধ্যে ফেলা নিয়ে। প্রথম ঢেউ থেকে এখন পর্যন্ট স্টুডিও পাড়ার প্রচুর কলাকুশলী থেকে বিভিন্ন কাজে যুক্তরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি এক পরিচালকেরও মৃত্যু হয়েছে কোভিড আক্রান্ত হয়ে। এর পর অবশ্য সিদ্ধান্ত বদল করে ফেডারেশন। ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল স্টুডিওপাড়াও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শুটিং চালানোর অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।

রানি রাসমণির রানিমার  চরিত্র অভিনয় করা দিতিপ্রিয়া নিজে এবং তাঁর পুরো পরিবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গৃহবন্দি। সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনও শুটিংয়ে ফিরতে পারেননি। অনামিকা সাহা রীতিমতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন কয়েকদিন। এরকম অজস্র নাম রয়েছে সিরিয়ালের জগতে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও কেন খোলা রাখা হচ্ছে স্টুডিও পাড়া তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে আগামী ১৫ দিনই সব বন্ধ থাকবে কিনা নাকি বিশেষ আবেদনে তা শুরু করা হবে তা সময়ই বলবে।

এদিকে রবিবার থেকে ১৫ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব দফতর। রাস্তায় সরকারি-বেসরকারি বাস যেমন নামবে না তেমন ব্যাক্তিগত যানও গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া নামানো যাবে না যেমন, হাসপাতাল, বিমানবন্দর বা স্টেশনে যেতে হলে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই অবস্থায় সিরিয়াল বা সিনেমার শুটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোকজন স্টুডিওতে পৌঁছবেই বা কী করে যদি শুটিং চলে? এরকম নান প্রশ্ন রয়েছে।

যদিও নতুন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেখানে চলছিল শুটিং। নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা, ফ্লোর-মেকআপ রুম নিয়মিত স্যানিটাইজ করা চলছে। হাত স্যানিটাইজ করা কাজের সময়টুকু বাদ দিয়ে সব সময় মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সব মেনে কি এড়ানো যাবে কোভিড সংক্রমণ?

কেউ যদি বাইরে থেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে শুটিং ফ্লোরে হাজির হন যাঁর কোনও উপসর্গ নেই তাহলে কীভাবে আটকাবে সংক্রমণ? তাহলে সেই ফ্লোরে বা তার সঙ্গে কাজ করা প্রত্যেকের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। সেখান থেকে যাঁরা আক্রান্ত হলেন তা সেই অবস্থায় বাড়ি ফিরবেন এবং বাড়ির লোকদের সংক্রমিত করবেন। এই চেন ভাঙতেই তো লকডাউনের সিদ্ধান্ত তাহলে কেন বাইরে থাকবে টলিপাড়া।

গত দু’দিন স্টুডিওপাড়া ঘুরে দেখেছেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। যাতে সব নিয়ম এবং বিধি মানা হয়। তবে সেটা কতটা কার্যকর তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন। সঙ্গে এর পর কেউ আক্রান্ত হলে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত কী হবে সেটাও তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কলাকুশলীরা যেমন মানুষের প্রাণের জন্য এই লকডাউনকে স্বাগত জানাচ্ছেন তেমনই চিন্তায় প্রতিদিনের মজুরীতে কাজ করা মানুষগুলোকে নিয়ে। অনেকেই বলছেন ১৫ দিন হলে তাও কোনওভাবে সম্ভব তার থেকে বাড়লে অনেকের খাওয়া জুটবে না।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on May 15, 2021 11:49 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন