বিজ্ঞাপন

অনন্যা পাণ্ডে এনসিবির আতশকাচের তলায়, দু’ঘণ্টা জেরা চাঙ্কির মেয়েকে

অনন্যা পাণ্ডে এনসিবির আতশকাচের তলায় চলে এলেন। বৃহস্পতিবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) অনন্যার মুম্বইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অনন্যা পাণ্ডে এনসিবির আতশকাচের তলায় চলে এলেন। বৃহস্পতিবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) অনন্যার মুম্বইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন। তার পর অভিনেত্রী অনন্যাকে নিজেদের দফতরে ডেকে নিয়ে এসে প্রায় দু’ঘণ্টা জেরা করে এনসিবি। মাদক-মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যাকে আগামী কাল শুক্রবার ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সকাল ১১টা নাগাদ। এ দিন অনন্যা পাণ্ডে একা নন, হাজিরা দিতে হয়েছিল তাঁর বাবা চাঙ্কিকেও।

গত ২ অক্টোবর গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে। পর দিন মুম্বই এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন শাহরুখ-পুত্র। এখনও জামিন পাননি। সে দিন আরিয়ানের সঙ্গে তাঁ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট-সহ আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তাদেরই কারও হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট থেকে ২২ বছরের অভিনেত্রী অনন্যার নাম উঠে আসে। তবে এ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এনসিবি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনন্যাকে। তার মানে এই নয় যে তিনি অভিযুক্ত বা অপরাধী।

অনন্যা পাণ্ডে এবং আরিয়ান খানকে একাধিক বার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। আরিয়ানের বোন সুহানার সব চেয়ে কাছের বন্ধু এই অনন্যা। বলিউডের মাদক চক্র নিয়ে এনসিবি যখন থেকে তদন্তে নেমেছে, তখন থেকে একের পর এক তারকার নাম এসেছে। কয়েক জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন এনসিবি-র আধিকারিকরা। এ বার সেই তালিকায় তারকাদের ছেলেমেয়েদের নামও ঢুকে পড়েছে। অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের মাদক চক্র নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এনসিবি।

গত ৮ অক্টোবর থেকে এই মাদক-মামলায় জেলে রয়েছেন আরিয়ান খান। বুধবারও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তাঁর মোবাইলের হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট থেকে তদন্তকারীদের দাবি, আরিয়ানের সঙ্গে মাদক-পাচারকারীদের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও আরিয়ানের আইনজীবী অমিত দেশাই আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে মাদক পাচারের কোনও সংযোগ নেই। আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদকও উদ্ধার হয়নি। যদিও এনসিবি-র দাবি, আরিয়ানের বন্ধু আরবাজের জুতোর তলা থেকে ৬ গ্রাম চরস পাওয়া গিয়েছে। এবং তাদের ধারণা, আরিয়ান ওই চরসের ব্যাপারে জানতেন। সেখান থেকেই এনসিবি-র দাবি, ওঁরা দু’জনেই কোনও না কোনও ভাবে মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন