বিজ্ঞাপন

কলকাতা লিগ: চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ৭ গোল, মাঠেই নামল না ইস্টবেঙ্গল

কয়েক দশক আগের কথা। ‘বাজে’ থিয়েটারের দেওয়াল লেখাটা চোখ টেনেছিল অনেকেরই। ‘‘শক পাঠানের দারুণ জোড় বুঝবে খুড়ো বেলা হলে।’’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

কুনাল দাশগুপ্ত


কয়েক দশক আগের কথা। ‘বাজে’ থিয়েটারের দেওয়াল লেখাটা চোখ টেনেছিল অনেকেরই। ‘‘শক পাঠানের দারুণ জোড় বুঝবে খুড়ো বেলা হলে।’’ একটা মাখো মাখো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্তা আর ইনভেস্টরের মধ্যে। জুবিন মেহতার অর্কেস্ট্রার মতো একই সুরে বাঁধা। দক্ষিণারঞ্জনবাবুর দুয়োরানীর থেকেও করুণ দশা কলকাতা লিগের। প্রশ্ন জাগে কার সম্ভ্রম লুঠলেন কলকাতা লিগ নাকি ইস্টবেঙ্গলেরই। দুই পক্ষর অমরপ্রেমের নিট ফল পঞ্চমীতেই শতবর্ষের লিগের বিজয়া দশমী। অথচ কলকাতা লিগের শুরুতে কর্তা-কোয়েসের সম্পর্ক ছিল হিন্দি ছবির রাজেশ-প্রেম চোপড়ার মতো। একপক্ষের কাছে কলকাতা লিগ পাড়ার হরিদাস চ্যালেঞ্জ শিল্ড অন্য পক্ষের কাছে সেটা বিশ্বকাপ। ক্লাব কর্তারাও তাঁদের স্বপক্ষে ব্রিগেডের মিটিংয়ের মতো জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছেন।

ইনভেস্টর্সরা অবশ্য গেরিলা যুদ্ধের মতো আড়ালেই থেকেছেন। সঞ্জিত সেনরা মেঘের আড়াল থেকে তীর ছুঁড়েছেন। কিন্তু লিগের শেষ লগ্ন হল কী? সব ‘‘মিলে মিশে হয়ে গেল পেরিসের ছেচকি।’’ লাল-হলুদ জনতার জন্য ছেচকি জুটল, সেটা প্যারিস বা স্পেন যে দেশেরই হোক না।

এই তো সেদিন সুপার কাপ না খেলার জন্য কয়েক আলোকবর্ষ দূরত্ব তৈরি হয়েছিল কর্তা আর কোয়েসের মধ্যে। কর্তারা গলার শিড়া ফুলিয়ে বলেছিলেন পালিয়ে যাওয়ার নজির ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে নেই। আর আজ পালিয়ে যাওয়াকেই সমর্থন করে বসলেন! কোচ নেই, কী হয়েছে সহকারি কোচ তো আছেন। বিদেশি নেই, কোলাডো নেই, কোলাডো ছাড়া যদি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দল নামানো যায় তাহলে কাস্টমসের বিরুদ্ধে নামানো যাবে না কেন? কোয়েসবাবুরা তো কোচের ভাঙাচোড়া দল নিয়ে মাঠে নামাকে পরীক্ষা বলে সংশাপত্র দিয়েছিলেন।

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

আজ কী হল?

ম্যাচ হারার ভয়?

ইস্টবেঙ্গল ছোট দলের কাছে হারেনি এর আগে?

কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন পিয়ারলেস। বাংলার ফুটবলের জন্য অবশ্যই ভাল খবর। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের কথা কে ভাববে? যারা জলে ভিজে, রোদে পুড়ে এই ক্লাবটার জন্য গলা ফাটায়।

ভয়টা কিসের ছিল?

নাকি রিজার্ভ বেঞ্চের উপর আস্থা নেই। তাহলে কী দল গড়লেন আপনারা। আসলে সঞ্জিত সেনরা ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ইতিবৃত্য না জেনই। শোনা গিয়েছিল বছরে ৪০ কোটি টাকা দেবেন। ক্লাবকে এশিয়ার সেরা করবেন। আপনাদের সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গল কলকাতায় তৃতীয়।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

কর্তাদের নিয়ে কীই বা বলার আছে। ইস্টবেঙ্গলে কোনও টুটু বসু নেই আছে শুধু হম্বিতম্বি। এক বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ‘‘দাদা বনাম সেনদা::র লড়াই দেখল। অথচ অক্টোবরের শুরুতেই দেখল না কোনও ট্রফির মুখ।

শট পাঠানের এই দারুণ জোটে জটে হাসফাশ করে মরতে লাগল শত বর্ষের আবেগ।

0
0

This post was last modified on November 18, 2019 10:38 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন