বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন… জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক

কোভিড-১৯ -এর এখনও কোনও সঠিক চিকিৎসা নেই যার ফলে বাড়ছে আতঙ্ক সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কী ভাবে আটকানো যাবে এই রোগ?
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯ -এর এখনও কোনও সঠিক চিকিৎসা নেই যার ফলে বাড়ছে আতঙ্ক সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কী ভাবে আটকানো যাবে এই রোগ? তা নিয়ে লিখলেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


দেশে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা সেই হারে না বাড়লেও তা কোনও মতেই স্বস্তিতে রাখছে না আমাদের। তার মধ্যেই লকডাউন থেকে আনলকের পথে আমরা। আনলকের এই সময়টায় কিন্তু সচেতনতাই আমাদের একমাত্র হাতিয়ার।

আনলক করার একাধিক দফার মধ্যে দেশ জুড়ে প্রথম দফা চলছে। রাজ্যে দ্বিতীয় দফা। অনেকেরই দৈনন্দিন নানা কাজ, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কর্ম— এত দিন বন্ধ ছিল। এ বার অনেককেই কাজে ফিরতে হবে। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে পড়ার আনন্দে সতর্ক ও সাবধান হওয়ার কথা ভুলে যাবেন না। করোনাভাইরাসের মোকাবিলাও কিন্তু করতে হবে আপনাকে। তাই তার অস্তিত্বকে ভুলে না গিয়ে অস্ত্র নিয়ে বেরতে হবে।

প্রথমে একটা জিনিস মাথায় ঢুকিয়ে নেওয়া ভাল— মাস্ক ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবে না। মাস্ক পরে তবেই বাইরে বেরতে হবে। বার বার মুখে হাত দেওয়া উচিত নয়। সুতির মাস্কের ক্ষেত্রে মোটা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন। এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা। মাস্ক ব্যবহার করার সময় তাতে বার বার হাত দেবেন না। একটা মাস্ক রিপিট ব্যবহার করা যায় তিন দিন পর। কারণ করোনাভাইরাস সর্বাপেক্ষা তিন দিন মাস্ক এর উপর থাকতে পারে।

‘এসএমএস’ অভ্যাস করুন। সোপ, মাস্ক, সোশ্যাল ডিসট্যান্স। অর্থাৎ সাবান, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব। হাতে থাকুক গ্লাভস। ওয়াশেবল গ্লাভস হলে সাবান-জলে ধুয়ে ব্যবহার করুন।

অন্যের থেকে দূরে সরে থাকুন। আপনার সামনের ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই উচিত। বেশির ভাগ জিনিস না ধরাই ভাল।

পাবলিক টয়লেট থেকে সাবধানে থাকবেন। প্রচণ্ড প্রয়োজন না পড়লে ব্যবহার করার দরকার নেই।

অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে টিফিন বা ধূমপান ভাগাভাগি করে করবেন না।

ব্যাগে রাখুন ৭০ শতাংশ আ্যলকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

টাকা ও মানিব্যাগ আলাদা পকেটে রাখুন। ফোন স্যানিটাইজ করুন নিয়মিত।

বাড়ি ফেরার পর সতর্ক থাকুন। বাইরে ব্যবহার করা জিনিসপত্র বাইরেই রাখুন। যেগুলো ঘরে আনতেই হবে, সেই সব জিনিসপত্র স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। বাড়ি ফিরেই সাবান দিয়ে স্নান বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

তবে একটা জিনিস ভাল করে শুনে নিন, জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বাড়িতে থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এ তো গেল প্রাথমিক সতর্কতার পাঠ। এগুলো মেনে চললেই আপনি অনেকটা দূরে রাখতে পারবেন করোনাভাইরাসকে। এর সঙ্গে বাড়িতে রাখুন কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ। ব্রায়োনিয়া আলবা ৩০, আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০, জেলসিমিয়াম ৩০, crotalus H30, এন্টিম টার্ট ৩০-র মতো ওষুধ। তবে এই ওষুধগুলো অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবেন।

(এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগে www.justduniya.com/স্বাস্থ্য)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন