বিজ্ঞাপন

ডি-কোম্পানি যোগ দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিদের, দাবি মহারাষ্ট্র এটিএসের

ডি-কোম্পানি যোগ দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে। বুধবার এমন দাবি করেছে মহারাষ্ট্র উত্তরপ্রদেশ এটিএস (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড)। জান মহম্মদ শেখ রয়েছে তালিকায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ডি-কোম্পানি যোগ দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে। বুধবার এমন দাবি করেছে মহারাষ্ট্র উত্তরপ্রদেশ এটিএস (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড)। তাদের দাবি, গ্রেফতার হওয়া ৬ জঙ্গির মধ্যে জান মহম্মদ শেখের ডি-কোম্পানি যোগ বছর কুড়ি আগে থেকে। ডন দাউদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে যে আন্ডারওয়ার্ল্ড ক্রাইম সিন্ডিকেট কাজ করে, তারই প্রচলিত নাম ডি-কোম্পানি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল মঙ্গলবার ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ওই জঙ্গি মডিউলটিতে এমন দু’জন রয়েছে, যারা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। গণেশ চতুর্থী, নবরাত্রি এবং রামলীলার সময় উৎসবের মরসুমে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেছিল বলেই পুলিশের দাবি। ধৃতদের মধ্যে বছর সাতচল্লিশের শেখের বাড়ি মুম্বইতে। মঙ্গলবার রাতেই মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র এটিএস তার বাড়ি খুঁজে বার করে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের বাসিন্দা আনীস ইব্রাহিম আদতে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই। সে এই ধরনের অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই জঙ্গিরা আনীসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত বলেও পুলিশের দাবি।

মহারাষ্ট্র এটিএসের প্রধান বিনীত আগরওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, শেখের ডি-কোম্পানি যোগ ছিল। সীমান্তের ও পারের নির্দেশ মেনেই কাজ করত সে। ডি-কোম্পানির সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রায় কুড়ি বছরের পুরনো। শেখের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের পাইধোনি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরে গুলি চালানো-সহ একাধিক তাণ্ডবের ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ। পুলিশের র‌্যাডারেই সে ছিল বলে দাবি এটিএসের। পুলিশের দাবি, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শেখ মুম্বই থেকে গোল্ডেন টেম্পল ট্রেন ধরে। দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপতে তাকে দিল্লি পুলিশ রাজস্তানের কোটা থেকে গ্রেফতার করে। যদিও গ্রেফতারের সময় তার কাছে কোনও অস্ত্র বা বিস্ফোরক বা জিলাটিন পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে, বাকি পাঁচ জন জঙ্গিকে জেরা করে দিল্লি পুলিশ বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছে। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে জিশান এবং ওসামাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, পাকিস্তানে ১৫-১৬ জন বাংলাভাষী জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়। তারা বাংলাদেশের হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি কি না তা নিয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কমিশনার নীরজ ঠাকুরের দাবি, গত ২২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে মাসকাটে গিয়েছিল ওসামা। সেখানে জিশানের সঙ্গে দেখা হয় তার। তার পর তারা দু’জনে পাকিস্তানে যায়। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে তাদের সঙ্গে ১৫-১৬ জন বাংলাভাষীও ছিল।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on September 15, 2021 10:00 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন