বিজ্ঞাপন

বাজেট ২০২০: অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আয়কর ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলেন নির্মলা

বাজেট ২০২০-তে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আয়কর ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সাধারণ মানুষ এবং অর্থনীতিরও কোনও লাভ হবে কি, উঠছে প্রশ্ন।
বিজ্ঞাপন

বাজেট ২০২০ পেশ করতে যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাজেট ২০২০-তে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আয়কর ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু এই বাজেটে সাধারণ মানুষের ঠিক কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।

আগামী অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারামন। দেশের বাজেটের ইতিহাসে দীর্ঘতম ভাষণে কী কী বললেন, সবিস্তারে দেখে নেওয়া যাক:

আগামী অর্থবর্ষে ২২ লক্ষ ৪৬ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ।

ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের শেয়ার বিক্রি করবে সরকার।

আইডিবিআই ব্যাঙ্কেরও শেয়ার বিক্রি করবে সরকার।

জিএসটি-তে আরও সংস্কার আনা হবে। এর আওতায় আয়কর জমা দেওয়া আরও সহজ হবে।

নতুন একটি প্রক্রিয়া চালু হবে, যাতে করদাতা আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আধার ও প্যান কার্ড পেতে পারেন।

নতুন কর ব্যবস্থায় বছরে ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ।

বছরে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

বছরে ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে  ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর।

বছরে ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কর।

বছরে ১২.৫ লক্ষ  টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর কমে ২৫ শতাংশ।

বছরে ১৫ লক্ষ টাকা বেশি আয়ের ক্ষেত্রে কর আগের মতোই ৩০ শতাংশ।

দেখুন নির্মলার বাজেট…

তবে নতুন আয়কর কাঠামোয় ৭০টি ছাড় তুলে দিলেন নির্মলা।

পুরনো হারে আয়করে ছাড়ের সুবিধা থাকছে। নতুন হারে কর দিলে মিলবে না আয়করে ছাড়ের সুবিধা। তবে করদাতা বেছে নিতে পারবেন তিনি নতুন হারে আয়কর দেবেন না পুরনো হারেই কর দেবেন।

আগামী অর্থবর্ষে নতুন আয়কর কাঠামোর সুবিধা নিলে চলতি বহু ছাড়ই মিলবে না বলে শনিবার জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

রাতে অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, নতুন আয়কর কাঠামোর ক্ষেত্রে মোট ৫০টি মূল খাতে ছাড় মিলবে।

সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
কৃষি থেকে আয়
হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের এস্টেট থেকে আয়
ফার্মের অংশীদারের প্রাপ্য লভ্যাংশ
প্রভিডেন্ট ফান্ডে নিয়োগকর্তার দেওয়া অংশ— সর্বোচ্চ পরিমাণ: বেতনের ১২ শতাংশ
পিপিএফ এবং জিপিএফে প্রাপ্য সুদ
মৃত্যু বা অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি— সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই, অন্যদের ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ
পেনশন কমিউটেশন— সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই, অন্যদের ক্ষেত্রে শর্তাধীন
অবসরের সময় ছুটি বিক্রি— সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই, অন্যদের ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ
ছাঁটাইয়ের ক্ষতিপূরণ— সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ
স্বেচ্ছাবসরের কারণে আয়— সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ
জীবনবিমার বোনাস। মৃত্যু ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে শর্তাধীন
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা থেকে আয়
জাতীয় পেনশন প্রকল্প থেকে মেয়াদ শেষে প্রাপ্তি এবং মধ্য-মেয়াদে তোলা টাকা
জাতীয় পেনশন প্রকল্পে কর্মীর দেওয়া টাকা
অবসরকালীন ভাতা— শর্তাধীন
বাড়ি ভাড়া বাবদ আয়ের ৩০ শতাংশ। মেরামতির জন্য কোনও ছাড় মিলবে না
কর্মরত অবস্থায় মৃতদের

বাজেট নিয়ে কী বললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র…

আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 2, 2020 2:28 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন