বিজ্ঞাপন

সিবিআই এফআইআর করল সংস্থারই স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে, রাহুল ঠুকলেন মোদীকে

সিবিআই এফআইআর করল সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার নামে। ২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁর নামে ওই এফআইআর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিজ্ঞাপন

অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সিবিআই এফআইআর করল সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার নামে। ২ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁর নামে ওই এফআইআর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সরকারি ভাবে এই খবর নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

মইন কুরেশি নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলায় অন্য এক অভিযুক্তের নাম সতীশ সানা। সেই সতীশ সম্প্রতি দাবি করেছেন, মামলা থেকে ছাড় পেতে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে, রাকেশ আস্থানাকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হবে। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী মনোজ প্রসাদ ওই ঘুষ দেওয়ার ব্যপারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিলেন। সতীশের দাবি, গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত রাকেশ আস্থানাকে ওই পাঁচ কোটির মধ্যে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।

এর মধ্যেই গত ১৬ অক্টোবর দুবাই থেকে ফেরার সময় সিবিআই গ্রেফতার করে মনোজ প্রসাদকে। সেই গ্রেফতারির পরেই আস্থানার মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি ওই গ্রেফতারি নিয়ে অন্য একটি তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন। মনোজও জেরায় ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে সূত্রের খবর। এর পরেই আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।

‘আমি কিছু না করলে গল্পটাই বা আর কোথায়? কোনও গল্প নেই’

যদিও গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবেই দেখছেন অনেকেই। তাঁদের যুক্তি, গত অগস্ট মাসে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক ভার্মার নামে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাকেশ আস্থানা। এই মইন কুরেশির মামলায় অলোক ভার্মা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগও তুলেছিলেন রাকেশ। সেই কারণেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

আগামী জানুয়ারি মাসেই মেয়াদ শেষ হবে অলোক ভার্মার। সব কিছু ঠিক থাকলে তাঁর পরে ওই পদে বসার কথা আস্থানার। কিন্তু, যে ভাবে এফআইআৱ করা হয়েছে, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এক জন অভিযুক্ত ব্যক্তি কী ভাবে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর পদে বসবেন? যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিবিআই রাকেশ আস্থান বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চেয়ে কোনও আবেদন জানায়নি।

গুজরাতের ক্যাডার এই রাকেশ আস্থানা। তিনি মোদী সরকারের বেশ ঘনিষ্ঠ বলেও অনেকের দাবি। ডিরেক্টর থাকাকালীন তাঁকে যে ভাবে স্পেশাল ডিরেক্টর হিসাবে নিয়ে আসা হয়েছে, তা নিয়ে কংগ্রেস সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নয়নের মণি, গুজরাতের ক্যাডার, গোধরা কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার এবং সিবিআইয়ের দু’নম্বর ব্যক্তি ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এই প্রধানমন্তীর আমলে কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থাকে কী ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

0
0

This post was last modified on October 22, 2018 2:41 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন