বিজ্ঞাপন

নরেন্দ্র মোদী শুটিং করছেন জঙ্গলে, পুলওয়ামায় তখন জওয়ানদের উপর জঙ্গি হানা!

নরেন্দ্র মোদী শুটিং করছেন জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে। এমন ছবিকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ করল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলল, গোটা বিশ্বে এমন প্রধানমন্ত্রী আর কোনও দেশে আছেন?
বিজ্ঞাপন

নরেন্দ্র মোদী শুটিং করছেন। এই ছবিই প্রকাশ্যে এনেছে কংগ্রেস।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদী শুটিং করছেন জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে। এমন এক ছবিকে হাতিয়ার করেই এ বার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। প্রশ্ন তুলল, গোটা বিশ্বে এমন প্রধানমন্ত্রী আর কোনও দেশে আছেন?

কংগ্রেসের দাবি, ওই ছবিটি তোলা হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। যে দিন পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় অন্তত ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। যে সময়ে পুলওয়ামায় ওই ঘটনা ঘটছে, সেই একই সময়ে নৈনিতালের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্যচিত্রের জন্য নরেন্দ্র মোদী শুটিং করছেন বলেও দাবি তাদের। কংগ্রেসের দেওয়া এই তথ্য যদিও মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিতে পারেনি।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি চ্যানেলের উদ্যোগে বাঘ নিয়ে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রের শুটিঙে নৈনিতাল গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সমস্ত খবর বেরিয়েছে। কংগ্রেস বৃহস্পতিবার সেই সমস্ত সংবাদ এবং ছবিকে হাতিয়ার করেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে।

এ দিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেন, বিকেল ৩টে ১০-এ পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী জঙ্গি হানা হয়। সেই খবর প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও নরেন্দ্র মোদী শুটিং চালিয়ে যান বলে রণদীপের অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত নৌকা বিহারও করেন। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা দেশ যখন জওয়ানদের মৃত্যুতে খেতে ভুলে গিয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী ওই চ্যানেলের কর্মীদের সঙ্গে চা-পকোড়ায় মগ্ন ছিলেন।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ, বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করা। অথচ তিনি তা করেননি।

বিজেপি যদিও রণদীপের এই অভিযোগের পাল্টায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করিয়েছে। সেখানে রবিশঙ্কর প্রসাদ কংগ্রেসের এমন প্রশ্ন তোলার জন্য একহাত নেন।

যদিও সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সে দিন প্রধানমন্ত্রীকে পুলওয়ামার খবর পাঠাতে প্রায় ২৫ মিনিট দেরি হয়েছিল। তার করাণ হিসাবে ওই সূত্রটি খারাপ আবহাওয়া এবং দুর্বল নেটওয়ার্ককেই দায়ী করেছেন। ওই সূত্রটির দাবি, সে দিন সকাল ৭টাতেই দেহরাদূন পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধা‌নমন্ত্রী। তবে, সেখানে তিনি প্রায় চার ঘণ্টা আটকে থাকেন খারাপ আবহাওয়ার জন্য।

এর পর বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ তিনি জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে পৌঁছন। সেখানে বাঘ সাফারি অনুষ্ঠানের জন্য তিন ঘণ্টা ছিলেন। এর পর শুটিঙে অংশ নেন। সেই সময়েই পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাটি হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ২৫ মিনিট পর তাঁর কাছে খবর পৌঁছয়।

এর পর তিনি রামনগর গেস্ট হাইজে ফিরে আসেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন। কথা বলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গেও। তার পর তিনি সড়ক পথে রামনগর থেকে বরেলী ফেরেন। কারণ, হেলিকপ্টার ওড়ার মতো আবহাওয়া ছিল না।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করে পাঠিয়েছে, কেন সে দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর পৌঁছতে দেরি হয়েছিল?

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 22, 2019 1:47 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন