বিজ্ঞাপন

দিল্লিতে উইকএন্ড কার্ফু, শ্মশানে মৃতদেহের লাইন, চিন্তায় প্রশাসন

দিল্লিতে উইকএন্ড কার্ফু জারি করল কেজরিওয়াল সরকার। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কোভিড প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিল্লিতে উইকএন্ড কার্ফু জারি করল কেজরিওয়াল সরকার। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কোভিড প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানিয়েছেন। সপ্তাহান্তে মল, জিম, স্পা-তে মানুষের ঢল নামে। আর তা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত। বন্ধ করা হচ্ছে এই তিন জায়গা। খোলা থাকছে সিনেমা হল। তবে তাতে ৩০ শতাংশ মানুষই এক সঙ্গে বসতে পারবেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নিতে হবে কার্ফু পাস। খোলা থাকবে সব ধরণের প্রয়োজনীয় সরবরাহ।

বন্ধ করা হল রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া। তবে খোলা থাকবে সেগুলো। চলবে শুধু হোম ডেলিভারি। কাজের দিনে সেটার পরিমান ৩০ শতাংশ রাখতে হবে। খোলা থাকবে বাজার তবে সেখানে যাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলা হয় সেদিকে নজর রাখবে প্রশাসন।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘এই নিয়ন্ত্রণ আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের জন্যই করা হচ্ছে। এটা অসুবিধের কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ জরুরী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে। আতঙ্ক করবেন না। সব গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস সপ্তাহান্তেও খোলা থাকবে।’’

বুধবার দিল্লিতে কোভিড আক্রান্ত হন ১৭,২৮২জন। যেদিন থেকে এই ভাইরাস দেশের প্রকোপ দেখাতে শুরু করেছে সেদিন থেকে এটাই সর্বোচ্চ রাজধানিতে। মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের ওপর। যে ভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে অদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দিল্লির শ্মশান ও কবরস্থানে। মৃত্যুর পরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে লাইনে। শ্মশানের বাইরে সার দিয়ে রাখা রয়েছে মৃতদেহ।

প্রশ্ন উঠছে সৎকারের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদৌ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। আত্মীয়-বন্ধুর মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে মানুষের। যা সংক্রমণ ছড়ানোর আরও একটা দিক খুলে দিচ্ছে। উপচে পড়ছে মর্গগুলোও। মাটিতে ফেলে রাখা হচ্ছে দেহ। দেশ জুড়ে এমন ভঙ্কর দৃশ্য বার বার দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের নিজেদের সতর্ক হওয়াটা সব থেকে বেশি জরুরী বলেই মনে করছেন ডাক্তার থেকে প্রশাসন।

মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই ১৫ দিনের জনতা কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবারও সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ মহারাষ্ট্র। আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব অফিস। তাতেও হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা নেই। যে কারণে মুম্বইয়ে চারতারা ও পাঁচতারা হোটেলগুলোকে ব্যবহারের কথা ভাবছে প্রশাসন।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন