বিজ্ঞাপন

গুরুগ্রামে খুন, যা দেখে আঁতকে উঠছেন বাঘা বাঘা গোয়েন্দারাও

গুরুগ্রামে খুন । যা দেখে তোলপাড় পুলিশের অন্দরে। ভয়ানক এক খুনের ঘটনা ঘটল গুরুগ্রামে। সম্প্রতি সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে আঁতকে উঠেছেন বাঘা গোয়েন্দারাও।
বিজ্ঞাপন

প্রতীকী চিত্র

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গুরুগ্রামে খুন । যা দেখে তোলপাড় পুলিশের অন্দরে। ভয়ানক এক খুনের ঘটনা ঘটল গুরুগ্রামে। সম্প্রতি সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে আঁতকে উঠেছেন বাঘা গোয়েন্দারাও।

গুরুগ্রামের বাসিন্দা জসকরণ সিং তাঁর বন্ধু হারনেক সিংয়ের কাছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু বার বার চেয়েও বন্ধুকে ধার দেওয়া সেই টাকা আদায় করতে পারছিলেন জসকরণ। টাকা ফেরত পেতে গত ১৪ অক্টোবর বন্ধু হারনেকের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে টাকা চাওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাধে। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পর হাতাহাতি। এর মধ্যেই জসকরণের গলা টিপে ধরেন ৭৭ বছরের হারনেক। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

এর পর ধারালো কৃপাণে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন জসকরণের দেহ। ২৫ টুকরো করে ফেলা হয়। এই কাজে হারনেককে সাহায্য করেছিলেন তাঁর স্ত্রী গুরমেহর কউর এবং অন্য এক বন্ধু। অভিযুক্ত হারনেককে পুলিশ গ্রেফতার করে জানতে পারে, শুধু পাওনাদার জসকরণকেই নয়, খুন করতে যাঁরা সাহায্য করেছিল সেই স্ত্রী এবং অন্য বন্ধুকেও পরে খুন করেন হারনেক!

শক্তিশালী ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে চার সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোনায় টাকা বিনিয়োগের জন্য হারনেককে ৪০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায় তাঁর পার্টনার জসকরণকে। দু’জনে অভিন্নহৃদয় বন্ধুও। কিন্তু অনেক বার বার বলার পরেও সেই টাকা ফেরত পাননি জসকরণ। সেই টাকা চাইতেই ১৪ অক্টোবর হারনেকের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি।

পাওনাদারকে খুন করার পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিল হারনেক। জসকরণ বাড়িতে আসতেই তাঁর স্ত্রী এবং ওই বন্ধুর সাহায্যে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে হারনেক। এর পর জসকরণের দেহটি শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন তাঁরা। এর জসকরণের দেহের টুকরোগুলি বাক্সে ভরে গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফেলে দিয়ে আসেন তাঁরা।

জসকরণকে খুনের পরে হারনেকরা বুঝতে পারেন পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলতে পারে। তাই প্রথমে সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু স্ত্রী রাজি হননি। তিনি থানায় গিয়ে ধরা দিতে চেয়েছিলেন। এর পর ১৯ তারিখ গলা কেটে স্ত্রীকেও খুন করেন হারনেক। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে খুনের বিষয়টি চাপা দিতে ডাকাতির গল্প বানিয়েছিলেন হারনেক। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। পরে জেরার মুখে হারনেক খুনের কথা স্বীকার করেন হারনেক।

0
0

This post was last modified on October 29, 2018 4:39 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন