জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভয়ঙ্কর হন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আপার অসমের হাফলং (Haflong Flood)। প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসে রীতিমতো বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসমের এই পাহাড়ি এলাকা। এই বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ট্রেনের লাইন। ধসের মাটি, পলি, কাঁদায় ঢেকে গিয়েছে হাফলং স্টেশন। লাইনের চিহ্নমাত্র দেখা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই আটকে পড়েছিল দুটো যাত্রীবাহী ট্রেন। দু’দিন ধরে সেই ট্রেনের মধ্যেই আটকে ছিলেন যাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার তৎপড়তায় উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। বায়ুসেনার বিমানে নিরাপদ স্থানে রাখা হয় তাঁদের।
উত্তরপূর্ব রেলের অন্তর্গত এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লামডিং-বদরপুরের পাহাড়ি অংশে প্রবল ল্যান্ডস্লাইডে বন্ধ হয়ে যায় লাইন। আটকে পড়ে ট্রেন। জল ক্রমশ বেড়ে ট্রেনের ভিতরেও ঢুকে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসারও উপায় ছিল না। এই অবস্থায় টানা দু’দিন আটকে থাকতে হয় দুটো ট্রেনের ২৮০০ যাত্রীকে। যদিও সকলেই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবারই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার থেকে এই এলাকায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে হাফলংয়ে ল্যান্ডস্লাইডে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ৭ জেলার ৫৭,১১৯ জন বাসিন্দা এই বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৪৩৩০ জনকে ২০টি রিলিফ ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৯টি ক্যাম্প করা হয়েছে, যেখান থেকে খাবার ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে।
১০,৩২১ হেক্টর জমির শস্যও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। উত্তরপূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে এই রুটে প্রায় ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আরও বাকি ১০টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। রেলের ট্র্যাক ঠিক করার কাজ চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। কারণ প্রবল বন্যায় বিরাট অংশের ক্ষতি হয়েছে। ডিমা হাসাও জেলার হেড অফিস হাফলং থেকে জানানো হয়েছে, নিউ হাফলং রেল স্টেশন পুরোটাই জলের তলায় রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে খানি ট্রেন। যার অনেকগুলোর বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে জলের জন্য লাইনের নিচের মাটি সরে যাওয়ায়। সরকপথও আপাতত বিচ্ছিন্ন বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)
This post was last modified on May 17, 2022 1:08 pm