বিজ্ঞাপন

মহাবালেশ্বরের পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শেষ ৩৩ প্রাণ, ফিরলেন একজন

মহাবালেশ্বরের পথেভয়াবহ দুর্ঘটনায় শেষ ৩৩ প্রাণ, ফিরল একজন। ভেবেছিল সবাই মিলে পিকনিকে গিয়ে শনিবারটা দারুণ মজায় কাটবে। কিন্তু তেমনটা হল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মহাবালেশ্বরের পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শেষ ৩৩ প্রাণ, ফিরল একজন। ভেবেছিল সবাই মিলে পিকনিকে গিয়ে শনিবারটা দারুণ মজায় কাটবে। তাই শনিবার সকালে বাস ভাড়া করে ওঁরা বেরিয়ে পড়েছিল মুম্বই-গোয়া রুটে মহাবালেশ্বরের উদ্দেশে। মহারাষ্ট্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন কর্মীর আর আনন্দ করা হল না, ফেরাও হল না ঘরে। একজন ফিরলেন কী ভাগ্য়ক্রমে। ৩৩জনকে চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখলেন তিনি।

মুম্বই থেকে পাহাড়ি রাস্তা ধরে গোয়ার দিকে যাচ্ছিল তাঁদের বাস। বৃষ্টিতে ভেজা ছিল রাস্তা। পাহাড়ের বাঁক পিছলে যায় বাসের চাকা। উপর থেকে ৫০০ ফিট নিচে পড়ে যায় বাস। মহারাষ্ট্রে রাইগার জেলায় ঘটে এই ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছেন একজন। ৩৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের কমান্ডেন্ট অনুপম শ্রীবাস্তব এএফপি-কে জানিয়েছেন, ‘’৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিত। একজনই বেঁচে গিয়েছে। আমাদের টিম বাকি দেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’’ স্টেট মিনিস্টার বিনোদ তাওদে টুইট করে জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজে সমানভাবে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। রাজ্য উদ্ধারকারী দল সঙ্গে সঙ্গে কাজে নেমেছে।

কলকাতায় খবরটা এসে পৌঁছেছিল শনিবার ভোরবেলা

গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে এই অঞ্চলে। পশ্চিম ঘাট পর্বতের এই জায়গার রাস্তা খুবই সংকীর্ণ। পাহাড়ি বাঁকও রয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে আগে থেকেই সেটা দুর্ঘটনা প্রবন এলাকা বলে চিহ্ণিত। সেরকমই এক পাহাড়ের বাকে পিচ্ছিল রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি বাসটি। পুলিশ জানিয়েছে, ডক্টর বালাসাহেব সাওয়ন্ত কোনকান কৃষি বিদ্যাপিঠের এই দল যাচ্ছিল মহাবালেশ্বরের উদ্দেশে সাপ্তাহান্তিক পিকনিকের জন্য়।


এই দুর্ঘটনার একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যাক্তি প্রকাশ সাওয়ন্ত দেশাই বাসের জানলা দিয়ে ছিটকে আটকে যান গাছের ডালে। তার পর পাহাড়ের গা ঘেঁষে উপরের রাস্তায় উঠে আসেন। প্রায় আধঘণ্টা সময় লাগে তাঁর উপরে উঠে আসতে। তিনিই কলেজে খবর দেন। তার পরই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছয়। পুণে থেকে সেখানে পৌঁছেছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার দল। তার পরই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগে বাসের চালক এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যখন ঘাট পেড়োচ্ছি তখন সবাই আমরা একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিলাম। চালক মুখ ঘুরিয়ে উত্তর দিতে গিয়েছিল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেল এই ঘটনা। আমরা কিছু বুঝতেই পারিনি। বাস খাদে পড়ে গেল। আমি জানলা দিয়ে ছিটকে বাইরে পড়লাম।’’


এই ঘটনার খবর শুনে টুইট করেছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। তিনি স্থানীয় পার্টি ওয়ার্কারদের নির্দেশ দিয়েছেন উদ্ধারকাজে সব রকমের সাহায্য করতে। তিনি লেখেন, ‘‘সব রকমের সাহায্য দেওয়া হবে আহত ও মৃতদের পরিবারকে।’’ প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টুইট করেছেন।

0
0

This post was last modified on July 28, 2018 7:33 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন