বিজ্ঞাপন

করোনা থেকে সুরক্ষিত শিশুরা? প্রাথমিক স্কুল খোলার পরামর্শ আইসিএমআর-র

করোনা থেকে সুরক্ষিত শিশুরা, এমনটাই দাবি করছে আইসিএমআর। কিছুদিন আগে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছি কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিশুরাই।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: করোনা থেকে সুরক্ষিত শিশুরা, এমনটাই দাবি করছে আইসিএমআর। কিছুদিন আগে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছি কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিশুরাই। যে কারণে তড়িঘড়ি শিশুদের ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপড়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই আইসিএমআর-এর এমন বক্তব্যে তৈরি হয়েছে সংশয়। প্রতিমুহূর্তে বদলাচ্ছে করোনা নিয়ে ধারনা। তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে শিশুদের নিরাপদ বলে দেওয়াটা না বিপদ ডেকে আনে তা নিয়ে বড় তাই সংশয়ে বাবা-মায়েরা। এতদিন পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল কোভিড নিয়ন্ত্রণে এলে খোলা হবে উঁচু ক্লাসগুলো। পরবর্তী সময়ে প্রথমিক স্তরের কথা ভাবা হবে। কিন্তু হঠাৎই আবার উল্টো সুর শোনা গেল এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার গলায়। তিনি জানিয়েছেন, শিশুদের শরীরে ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। সেকারণে প্রাথমিক স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা যেতেই পারে।

এইমস প্রধানের পথেই এবার হাঁটল আইসিএমআর। একই মত পোষণ করেছেন ডিজি বলরাম ভার্গবও। গত দু’বছরে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখো হয়নি। শিশুদেপ শৈশব হারিয়ে গিয়েছে। জীবনের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে তাদের বেড়ে ওঠার মূল জায়গাটা। গৃহবন্দি হয়ে মানসিকভাব পিছিয়ে পড়ছে এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। সেই দিকে তাকিয়ে শিশুদের স্কুলে ফেরানোর কথা নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু করার পথকে প্রশস্ত করবে এই দু’জনের বার্তা।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ যাওয়ার মুখে। তৃতীয় ঢেউ আসবে এমন ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যেই শিশুদের নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে ডঃ ভার্গবের গলা। তিনি বলেন, ‘‘এটা সকলেএই জানে শিশুরা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের সঙ্গে বড়দের থেকে লড়াইয়ে এগিয়ে। চতুর্থ সেরো সার্ভে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বড়দের পাশাপাশি ছোটদের শরীরেও ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’ তাই শিশুদের নিয়ে যতটা আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল ততটা থাকছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে স্কুল খোলার আগে আরও অনেক কিছু দিক খতিয়ে দেখতে হবে। সবার আগে স্কুল খুললে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মীদের পুরোপুরি টিকাকরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

তবে এটাও ঠিক বিভিন্ন দেশে প্রথম ঢেউয়ের পর প্রাথমিক স্কুল খুলে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে প্রচুর শিশু আক্রান্তও হয়েছিল। তার পর আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি ইউরোপের উদাহরণ দিয়ে জানান, সেখানকার বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্কুল খুলে গিয়েছে। সেই একই পথে হাঁটার পক্ষেই তিনি বলে জানিয়েছেন। আইসিএমআর-এর তথ্য  অনুযায়ী দেশের ৬৭.৭ শতাংশ মানুষের দেহে তৈরি হয়ে গিয়েছে রোগ নিরোধক ক্ষমতা। তার পরও ৪০ কোটি মানুষের এখনও ঝুঁকি রয়েছে। তবে ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনাধীন কারণ শিশুদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 20, 2021 11:58 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন