বিজ্ঞাপন

উত্তপ্ত শিলং থেকে এখন বেরতে পারলে বাঁচেন পর্যটকেরা

বিজ্ঞাপন

উত্তপ্ত শিলং

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উত্তপ্ত শিলং থেকে এখন বেরতে পারলে বাঁচেন পর্যটকেরা। এখনই ঘোরার মরসুমে। সেই সময়টায় শিলংগামী গাড়ির লাইন উপচে পড়ার কথা। পুলিশ বাজার একেবারে ভিড়ে ঠাসা থাকর কথা। কিন্তু গত দু’দিন ধরে উত্তপ্ত শিলং। সেই আগুনের আঁচ থেকে এখন বেরতে পারলে বাঁচেন পর্যটকরা।

সর্বত্রই দোকানপাট বন্ধ। গাড়ি নেই কোথাও। ঘোরার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এ রাজ্য থেকে মেঘালয়ে যাওয়া অনেক পর্যটকই দু’দিন ধরে হোটেলবন্দি থেকেছেন। ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে পর্যটন ব্যবসা মার খাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতি কোথা থেকে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে এখনও সন্দিহান পুলিশ-প্রশাসন। একটি সূত্রের মতে, বৃহস্পতিবার সকালে মটফ্রান এলাকায় পাঞ্জাবি লেনে কল থেকে জল নেওয়া নিয়ে স্থানীয় হিন্দিভাষী মহিলাদের সঙ্গে এক বাসচালকের ঝগড়া-মারধর থেকেই এই ঘটনা। অন্য সূত্রের খবর, পাঞ্জাবি লেনে এক খাসি বাসচালক হিন্দিভাষী মহিলাকে ধাক্কা মারায় ঝামেলার শুরু। তবে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার আশঙ্কা, এ সবের পিছনে কোনও ‘বহিঃশক্তির হাত’ রয়েছে।

সেনাবাহিনী ফ্ল্যাগ মার্চ করেছে গোটা শহর জুড়ে। তার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। হরিজন কলোনি থেকে পালানো প্রায় ৩০০ মহিলা ও শিশুকে সেনাবাহিনীর শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পেট্রল বোমা আটকাতে বন্ধ রয়েছে খোলা বাজারে বা বোতলে তেল বিক্রি।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় যাচ্ছেন আরএসএসের সমাবর্তনে

শিলংয়ের হরিজন কলোনি ও পাঞ্জাবি লেনের পুরুষরা এখনও বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। পুলিশ গলিগুলির মুখ পাহারা দিচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে হরিজন কলোনি ও পাঞ্জাবি লেনের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের বৈঠকে ডাকেন। বিকল্প স্থানের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক অ্যাডেলবার্ট নোংগ্রুম জানান, ঘিঞ্জি বাজার এলাকায় অতবড় বসতি না রেখে তা সরিয়ে নেওয়াই ভাল। কিন্তু সরকার কোনও সাম্প্রদায়িক টানপড়েন চাইছে না। তাই সব পক্ষের মত নিয়েই সিদ্ধান্ত হবে। পিডিএফ চেয়ারম্যান পি এন সিয়েম বলেন, শুধুমাত্র পুরসভার সাফাই কর্মীদেরই সুইপার্স কলোনিতে থাকার কথা। ডিজিপি এস বি সিংহ জানান, কেন্দ্র আরও চার কোম্পানি সিআরপি ও ২ কোম্পানি ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পুলিশ পাঠাচ্ছে। আবাসিক ও বাণিজ্য এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় ও ভয় কাটাতে পর্যপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

0
0

This post was last modified on June 4, 2018 12:34 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন