বিজ্ঞাপন

১০০ শব্দের গল্প ১২: মুদ্রার ও-পিঠ

মারণ ভাইরাসের দাপটে লাবন্যর গ্রাম আজকাল সব সময়ই ঘুমিয়ে থাকে, তার মধ্যেই বাইরে থেকে ফিরেছেন স্বামী, সঙ্গে অনেক টাকা তাতেই ঘুম উড়েছে গৃহিনীর, লিখলেন লেখনী পঞ্চাধ্যায়ী...
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

১০০ শব্দের গল্প নিয়ে মজার খেলাটা হঠাৎই মাথায় এল। লকডাউনে যখন সবাই গৃহবন্দি তখন ভাললাগা, ভালবাসাগুলোকে আরও একবার খুঁজে পেলে কেমন লাগে? সেই খোঁজেই এই ১০০ শব্দের গল্প লেখার উদ্যোগ ফেসবুকে। অনেকেই সাড়া দিয়েছেন, অনেকেই দেননি। কিন্তু যাঁরা দিয়েছেন তাঁরা নিজের সেরাটা তুলে ধরেছেন। ১০০ শব্দ কারও বেশি হয়েছে কারও কম, কিন্তু সবাই লিখেছে গল্প। জাস্ট দুনিয়ার পাতায় এ বার সেই গল্পগুলোকেই আমাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা। দ্বাদশ দিনের গল্প লিখলেন লেখনী পঞ্চাধ্যায়ী (https://www.facebook.com/lekhani.panchadhyayi)


চৈত্র রাত। একটা আস্ত কর্মহীন গ্রাম পরিশ্রান্ত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘুমের চাদরে।পুকুরপাড়ের বুনো ঘাসফুলগুলো ঝিরি-ঝিরি বাতাসে মাথা দুলিয়ে চলেছে অবিরত। কনসার্টে মশগুল ঝিঁঝিঁ পোকার দলও। দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই লাবণ্যের চোখে। ভাইরাসের দৌলতে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার কর্তা বাড়ি ফিরেছে দিনদুয়েক আগে, সঙ্গে ব্যবসার টাকাকড়িও কিছু আছে।

অনেকক্ষণ ধরেই খিড়কির পূর্বপাশের ঘন বাঁশজঙ্গলে যে অবাঞ্ছিত উপস্থিতি ঠাওর করছিল সে, শুকনো পাতায় খসখসে শব্দ সেই অনুমানটিকে নিশ্চিত করল। সময় নষ্ট না করে ভয়ে ভয়ে জানলার গা ঘেঁষে বসল সে।

শাড়িবোনা ছেঁড়া কাঁথাটা গায়ে মাথায় জড়িয়ে খ্ক-খ্ক করে কাশতে কাশতে বুড়ি শ্বাশুড়ির গলায় বলে উঠল, ‘‘আ…আর পারি নে…! দম যে ফুরিয়ে আসছে রে বাপ, বাইরে থেকে যে কি রোগ বয়ে নিয়ে এলি হতভাগা।’’ বলেই আবার কাশতে শুরু করল।

ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকা ছায়ামূর্তিটি আলোর বেগে আবছা হয়ে গেল দূরের হিজল গাছটির কালো গুঁড়ির অন্ধকারে।

গ্রাফিক্স: সুসেচৌ

(আরও গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(আপনারাও পাঠাতে পারেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, জীবনের অভিজ্ঞতার কথা এই ই-মেলে: justduniya2017@gmail.com অথবা ইনবক্স করুন ফেসবুক পেজে: https://www.facebook.com/JustDuniyaNews )

0
0

This post was last modified on June 15, 2020 1:22 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন