বিজ্ঞাপন

বিরাট হিমশৈল ক্রমশ এগিয়ে আসছে সমুদ্রপাড়ের গ্রামের দিকে

বিরাট হিমশৈল এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। সমুদ্রের মধ্যে ভাসতে ভাসতে ক্রমশ এগিয়ে আসছে পাড়ের ওই ছোট্ট গ্রামটির দিকে।
বিজ্ঞাপন

এই হিমশৈলকে ঘিরেই দানা বাঁধছে আতঙ্ক।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিরাট হিমশৈল এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। সমুদ্রের মধ্যে ভাসতে ভাসতে ক্রমশ এগিয়ে আসছে পাড়ের ওই ছোট্ট গ্রামটির দিকে। যে কোনও সময় পুরো গ্রামটিকে গোগ্রাসে গিলে ফেলতে পারে ওই বিরাট তুষার শৈল। যার আয়তন দুটো ফুটবল মাঠের সমান। এমনই এক তুষার শৈলর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল টাইটানিক। তার পর থেকেই আতঙ্কের কেন্দ্রে আরও বেশি করে উঠে এসেছে তুষার শৈল।

১১ মিলিয়ন টনের এই বিরাট তুষার শৈল ভেসে বেড়াচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের এক গ্রামের আসপাশে। যেখানে থাকে ১৬৯টি পরিবার। সমুদ্রের পাড়ে থাকলেও এত বড় তুষার শৈল অতীতে কখনও দেখেনি এই গ্রামের মানুষ। এই মুহূর্তে খুব বেশি     নড়াচড়া করছে না সে। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে ববলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, সামুদ্রিক হাওয়া ও বৃষ্টির তীব্রতা বাড়লে যে কোনও সময় নিজের জায়গা থেকে সরে যেতে পারে এই হিমশৈল। আবার গরম বাড়লে গলতে শুরু করবে এই আইসবার্গ। তাতে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসও দেখা দিতে পারে। যার ফলে সুনামির সম্ভাবনা থাকছে। তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই গ্রাম।

স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা খুব চিন্তায় আর ভয়ে আছি।’’ ইতিমধ্যেই ৩৩জনকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাকিদেরও সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক থেকে ৬০০ মাইল দূরত্বে অবস্থিত ইনারসুটের এই গ্রাম। গ্রামের প্রায় সকলেই শিকারি অথবা মৎসজীবী। একদমই অন্যান্য জগতের সঙ্গে এই গ্রামের কোনও যোগাযোগ নেই। নৌকই এই গ্রামের মূল যানবাহন।

চোখের সামনে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সাধের বাড়ি

৬৫০ ফিটের এই হিমশৈলর ৩০০ ফিট রয়েছে জলের উপর। বাকি ৩৫০ ফিট রয়েছে জলের নিচে। যেটা ভয়ঙ্কর। উপরটা দেখে এই হিমশৈলর বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা করা মুশকিল। গত জুনেই ভূমি ধসের জেড়ে ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ১১টি বাড়ি। প্রাআকৃতিক দূযোর্গের কথা ভেবে এখন থেকেই রয়্যাল নেভির জাহাজ রাখা হয়েছে গ্রামের কাছে। যাতে কোনও রকম দূর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের রক্ষা করা যেতে পারে।

ভিলেজ কাউন্সিলের সদস্য সুসান্না এলিয়াসন বলেন, ‘‘আমরা গ্রামের মানুষদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমরা বড় হিমশৈল দেখে অভ্যস্ত কিন্তু এতবড় এর আগে দেখিনি।’’ আগামী সপ্তাহে সামুদ্রিক হাওয়ার প্রকোপ বাড়ার কথা রয়েছে। রবিবার ২২ জুলাই বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।

0
0

This post was last modified on July 17, 2018 1:34 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন