বিজ্ঞাপন

এএফসি এশিয়ান কাপ থেকে ভারত ছিটকে যেতেই দায়িত্ব ছাড়লেন কনস্টানটাইন

এএফসি এশিয়ান কাপ ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে গিয়ে নিজের সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এএফসি এশিয়ান কাপ ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে গিয়ে নিজের সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। এএফসি কাপের পরই তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এবং তার পর আর তাঁকে রাখা হবে না সেটা অনেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিল ফেডারেশন। এএফসি কাপ শুরুর আগে তা নিয়ে যাতে দলের উপর প্রভাব না পড়ে ধামাচাপ দিয়েছিলেন সচিব কুশল দাস। কিন্তু এএফসি এশিয়ান কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে সমস্যার সমাধান করে দিলেন স্টিফেন কনস্টানটাইন।

সংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে গত চার বছর রয়েছি। প্রথম দিন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল এএফসি এশিয়ান কাপ খেলা। এবং আমরা সেটা পেরেছি। আমি প্লেয়ারদের জন্য গর্বিত ওরা যা করেছেন। আমি সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কুশল দাস, প্রফুল প্যাটেল ও অভিষেক যাদবকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সমর্থনের জন্য।’’

এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘আমার পর্ব এখানে শেষ, এ বার এগিয়ে যাওয়ার পালা। আমার কাছে যা চাওয়া হয়েছিল আমি করে দিয়েছি।’’ ২০১৫তে দ্বিতীয়বার ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন তিনি। তার আগে ২০০২ থেকে ২০০৫ তিনি ছিলেন ভারতের কোচ। তার কোচিংয়েই ভারতের র‍্যাঙ্কিং ১৭৩ থেকে ৭৬-এ পৌঁছয়।

ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল ভারতীয় দলের সামনে। কিন্তু সেই ইতিহাস আর তৈরী হল না। ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা গোলে ভারতকে হারাল বাহরিন। আর সেই সঙ্গে ১৩০ কোটি মানুষের স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়ে গেল। গত দুই ম্যাচে আক্রমনাত্মক খেলার পর এই ম্যাচে অজ্ঞাত কারনেই ভারত বড্ড বেশি রক্ষনাত্মক খেলতে গিয়েছিল।

যা দেখে মনে হচ্ছে কোনওরকমে ড্র করাই ছিল লক্ষ। কিন্ত সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। সারা ম্যাচ জুড়ে বাহরিন একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে। সন্দেশ ঝিঙ্গান ও গুরপ্রীত সিং এর জন্য একটার বেশি গোল হয়নি। আনাস চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে তার বদলে সালামকে নামান কনস্টানটাইন। ফলে রক্ষণ অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। মাঝমাঠে রোলিন বর্জেস ও আশিক কুরিয়ন কে খুঁজেই পাওয়া গেল না। তবুও কোচের জ্যাকিচাঁদ ও বলবন্তের কথা মনে পড়েনি। অনেক পরে অবশ্য অনিরুদ্ধকে নামান কোচ।

অধিনায়ক প্রণয় হালদারকে সেভাবে ছন্দে দেখা যায়নি। ৮৮ মিনিটে অহেতুক ফাউল করে বাহরিনকে কার্যত ম্যাচটা তুলে দেন তিনি। সুনীল ও আজ অ্যাটাকিং থার্ডে কোনও সাপোর্ট পাননি। ৬১% বল পজেশন নিয়ে বাহরিন গোলমুখে ১৩টা শট করে যেখানে ভারত মেরেছে মাত্র তিনটি। ১৩টি কর্নার ও বাহরিন পায়‌। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে বাহরিন কতটা অ্যাটাকিং খেলেছে। এই ম্যাচটা একটা সময় মনে হচ্ছিল সন্দেশ বনাম বাহরিনের হচ্ছে। আজ কার্যত চিনের প্রাচীর হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। শেষ পর্বে নিশ্চিত কয়েকটা গোল বাঁচান গুরপ্রীত সিং।

এদিন মাহরুফ, রশিদদের ফিজিক্যাল ফুটবলে হার মানে উদান্তরা। কাকতালীয় ভাবে আজ থেকে আটবছর আগে এই দিনে বাহরিনের কাছে হেরে এশিয়ান কাপ থেকে ভারত বিদায় নিয়েছিল। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল আবার আজ। তবে ভারত হারলেও সারা ফুটবল বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছে দল। অন্তত এইভাবে খেললে আমরা ২০২২ এ সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠতেই পারে।

(খেলার আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on January 15, 2019 12:59 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন