বিজ্ঞাপন

ফুটবলার পাওলো রোসি প্রয়াত, ইতালির বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক

ফুটবলার পাও‌লো রোসি প্রয়াত (Footballer Paolo Rossi Died) হলেন ৬৪ বছর বয়সে। ইতালির ১৯৮২-র বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ইনস্টাগ্রামে পাওলো রোসির স্ত্রী ফেডরিকা কাপেলেত্তি তাঁর মৃত্যুর খবর জানান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফুটবলার পাও‌লো রোসি প্রয়াত হলেন ৬৪ বছর বয়সে। ইতালির ১৯৮২-র বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পাওলো রোসি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।বৃহস্পতিবার ভোরে বিশ্ব ফুটবলের এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। অসুস্থ থাকলেও ফুটবল বিশেষজ্ঞ ভূমিকায় তাঁকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে দেখা যেত। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হল একটা যুগের।

ইনস্টাগ্রামে পাওলো রোসির স্ত্রী ফেডরিকা কাপেলেত্তি তাঁর মৃত্যুর খবর জানান। এক সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘ফর এভাব। তোমার মতো আর কেউ কখনও হবে না, অনন্য, বিশেষ, তোমার পর আর কিছু নেই…।’’

কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা। এবার চলে গেলেন পাওলো রোসি, পর পর দুই সেরা ফুটবল তারকার প্রয়ানে অনেকটাই অনাথ হয়ে পড়ল ফুটবল বিশ্ব। এই প্রজন্ম তাঁদের খেলা না দেখলেও ইউটিউবের জমানায় এখনও তাঁরা চির তরুণ।

১৯৮২-র বিশ্বকাপ তাঁকে শীর্ষ আসনে পৌঁছে দিয়েছিল যা প্রায় তিনি একাই জিতিয়েছিলেন। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাঁর হ্যাটট্রিকের ফলে ৩-২ গোলে জিতেছিল ইতালি। সেই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের মালিক ছিলেন তিনিই। সেমিফাইনালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই গোল ও ফাইনালে একটি গোল ছিল পাওলো রোসির নামেই। জার্মানিকে ৩ গোল দিয়ে মাত্র এক গোল হজম করেছিল ইতালি ফাইনালে।

ক্লাব ফুটবলে দাপিয়ে খেলেছেন জুভেন্টাস ও এসি মিলানের হয়ে। ক্লাব ফুটবলের শুরু ভিসেনজারের হয়ে। তার পর পেরুজিয়া হয়ে ১৯৮১তে যোগ দেন জুভেন্টাসে। সেই থেকেই শুরু পাওলো রোসির উত্থানের। এর পর ১৯৮৫-তে যোগ দেন এসি মিলানে। জুভেন্টাসের হয়ে ৮৩ ম্যাচে ২৪ গোল করেন তিনি।

ক্লাব ফুটবলে ৩৩৮ ম্যাচে ১৩৪টি গোল করেন তিনি। দেশের হয়ে ৪৮ ম্যাচে ২০ গোল পাওলো রোসির। ১৯৮২-র বিশ্বকাপে ছ’টি গোল ছিল তাঁর। বিশ্বকাপের পাশাপাশি তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে দুটো সিরি এ, একটি ইউরোপিয়ান কাপ।

বিতর্ক তাঁর জীবনেও কিছু কম ছিল না। নির্বাসিত হয়েছিলেন ফুটবল থেকে। জরিয়ে পড়েছিলেন ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে। তিন বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন পরে তা কমিয়ে দু’বছর করা হয়। যার ফলে ১৯৮০-র ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরের মাটিতে খেলতে পারেননি। ইতালি চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। নির্বাসন ওঠার পর ফিরে গিয়েছিলেন ক্লাব দল জুভেন্টাসে, জায়গা করে নিয়েছিল ১৯৮২-র বিশ্বকাপ দলেও। তার পরটা তো ইতিহাস।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন) 

0
0

This post was last modified on December 10, 2020 9:10 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন