বিজ্ঞাপন

‌আইসিসি হল অফ ফেম: জায়গা করে নিলেন শচীন, ডোনাল্ড

আইসিসি হল অফ ফেম -এ জায়গা করে নিলেন তিনি। আরও একটি পালক যোগ হল শচীন তেন্ডুলকারের মুকুটে। তাঁর সঙ্গে একই সারিতে অ্যালান ডোনাল্ডও।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইসিসি হল অফ ফেম -এ জায়গা করে নিলেন তিনি। আরও একটি পালক যোগ হল শচীন তেন্ডুলকারের মুকুটে। আইসিসি–র হল অফ ফেমে জায়গা পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি। শচীন ছাড়াও হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি জোরে বোলার অ্যালান ডোনাল্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দুবারের বিশ্বকাপজয়ী মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য ক্যাথরিন ফিৎজপ্যাট্রিক।

শচীনের আগে ৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটার আইসিসি–র হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছেন। এঁরা হলেন সুনীল গাভাসকার, বিষেন সিং বেদি, কপিল দেব, অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড়। আইসিসি–র হল অফ ফেমে জায়গা পেয়ে দারুণ সম্মানিত শচীন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে দারুণ সম্মানের। ‌বিভিন্ন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের সঙ্গে এক তালিকায় আসতে পেরেছি। ক্রিকেটের উন্নতি ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেকের অবদান আছে। এই কাজটা আমিও করতে পারব এটা ভেবে ভাল লাগছে।’‌

শচীন আরও বলেন, ‘‌সব পুরস্কারই গুরুত্বপূর্ণ। আমি কোনও তুলনা করতে চাই না। সবগুলোকেই মূল্য দিই। ২৪ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে কৃতিত্ব স্থাপন করেছি, আইসিসি তার মর্যাদা দিয়েছে। আইসিসির কমিটি মেম্বাররা মনে করেছেন আমি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।’‌ ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তের প্রসঙ্গে শচীন ২০১১–র বিশ্বকাপ জয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

শচীন বলেন, ‘‌২০১১–র বিশ্বকাপ জয়ই সবথেকে স্মরণীয় মুহূর্ত। যখন বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে ধরছিলাম, সেই অনুভূতির কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ধাতস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল।’‌ বাবাকেই নিজের আইডল হিসেবে বেছে নিয়েছেন শচীন। তাঁর কথায়, ‘‌বাবাই আমার হিরো। আমি সবসময় চাইতাম বাবার মতো মানুষ হতে। আর যখন ক্রিকেটে এলাম, তখন আমার দুজন হিরো, স্যর ভিভ রিচার্ডস ও সুনীল গাভাসকার। আমার কাছে এই দুজনই আদর্শ ব্যাটসম্যান।’‌

২৪ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়েছেন শচীন। ক্রিকেটজীবনে দীর্ঘসময় পথ চলতে পারার জন্য পরিবার, কোচ এবং যাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শচীন। তিনি বলেন, ‘‌যাঁদের আমি দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনে পাশে পেয়েছিলাম, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাবা–মা, দাদা অজিত, স্ত্রী অঞ্জলি আমার পাশে স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওরাই আমাকে শক্তি জুগিয়েছিল। রমাকান্ত আচরেকারের মতো গাইড ও মেন্টর পেয়েছিলাম।’‌ শুধু পরিবারের লোকজন কিংবা ছোটবেলার কোচকে ধন্যবাদ জানাননি, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যাঁদের নেতৃত্বে খেলেছেন, সতীর্থ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের।

শচীনের মতো অ্যালান ডোনাল্ডও আইসিসি–র হল অফ ফেম সম্মান পেয়ে অভিভূত। ইমেল খুলে যখন আইসিসি–র বার্তা দেখতে পেয়েছিলেন, অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তিনি বলেন, ‘‌ইমেল খুলেই ইনবক্সে দেখতে পাই আইসিসি–র পাঠানো ইমেল। তাতে লেখা, অভিনন্দন অ্যালান ডোনাল্ড। আপনি আইসিসি–র হল অফ ফেমে জায়গা পেয়েছেন। সত্যিই এটা দারুণ সম্মানের ব্যাপার। আমাকে এইরকম সম্মান দেওয়ার জন্য আইসিসি–কে ধন্যবাদ।’‌

এ রকম গর্বের দিনে ডোনাল্ডের মনে পড়ছে হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বাবা এউইয়ে ক্রোনিয়ের কথা। এউইয়ে ক্রোনিয়ে ছোটবেলায় খুবই সাহায্য করেছিলেন। সেই দিনগুলির স্মৃতিচারণ করে ডোনাল্ড বলেন, ‘ছোটবেলায় স্কুল–কলেজে ক্রিকেট খেলার সময় এইউয়ে ক্রোনিয়ে আমাকে দারুণ সাহায্য করেছিলেন। ‌পরে সাহায্য পেয়েছিলাম আমার কাকা ডেস ডোনাল্ডের কাছ থেকে। আর বব উলমার তো আমার মেন্টর। তিনিই আমাকে সাফল্যের রাস্তা দেখিয়েছিলেন।’‌ ‌‌‌‌

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on July 20, 2019 12:48 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন