বিজ্ঞাপন

ইসরোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রযানের, বিজ্ঞানীদের মোদী বললেন, ‘দেশ গর্বিত’, দেখুন ভিডিও

ইসরোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রযানের, ফলে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বিজ্ঞানীদের কাছে আর পৌঁছল না, তার পাঠানো বার্তা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন

ইসরোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রযানের

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইসরোর সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রযানের, ফলে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বিজ্ঞানীদের কাছে আর পৌঁছল না, তার পাঠানো বার্তা। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়ে দিলেন, চাঁদের কক্ষপথে থাকা অরবাইটারের কাছে কোনও তথ্য পাঠাচ্ছে না চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রম। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে অরবাইটার এবং ল্যান্ডারের মধ্যে।

শুক্রবার গভীর রাত। ঘড়ির কাঁটা তখন ঠিক দুটোর ঘর ছুঁয়েছে। ইসরোয় উপস্থিত সকলের মুখ হঠাৎ করেই থমথমে। এমনকি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে এত ক্ষণ হালকা হাসি লেগে ছিল, তিনিও আচমকাই বড্ড গম্ভীর। ইসরোর চেয়ারম্যানকেও উদ্বিগ্ন মুখে দেখা যাচ্ছে টিভির পর্দায়। তার কয়েক মিনিট আগেই অর্থাৎ রাত ১টা ৫৩ মিনিটে চাঁদের মাটিতে ‌নামার কথা ছিল বিক্রমের। রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত পেরিয়ে ইতিহাসে ঢুকে পড়বে ভারত। কিন্তু আচমকাই সবটা থমথমে।

টিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছে, গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার ছাপ ইসরোর বিজ্ঞানীদের চোখেমুখে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মিনিট কয়েকের মধ্যেই দেখা গেল, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এগিয়ে গেলেন কে শিবম। প্রধানমন্ত্রী উঠে দাঁড়ালেন। দু’জনের কথা হল। তার পর প্রধানমন্ত্রী নেমে এলেন। এর পরেই শিবম ঘোষণা করলেন, বিক্রমের সঙ্গে আচমকাই সমস্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সমস্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখছেন। তিনি জানান, চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ২.১ কিলোমিটার দূরেই আচমকা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। আপাতত পুনঃসংযোগের অপেক্ষায় ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

এর পরেই প্রধানমন্ত্রী ইসরোর চেয়ারম্যান-সহ অন্য বিজ্ঞানীদের কাছে ডেকে নেন। তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘অভিনন্দন। এটা কোনও ছোট সাফল্য নয়। গোটা দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। আমরা পারব।’’ এর পর তিনি চেয়ারম্যানের পিঠ চাপড়ে দেন।

জেনে নিন যে দিন চন্দ্রযান টু উৎক্ষেপণ হয়েছিল সে দিনের কাহিনি

বেঙ্গালুরুতে এ দিন ইসরোর কন্ট্রোল রুমে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গোটা ঘটনাটি দেখতে উপস্থিত ছিল ৭০ জন স্কুল পড়ুয়াও। ইসরো আয়োজিত কুইজ কম্পিটিশনের ফলাফলের ভিত্তিতে সারা দেশ থেকে এই ৭০ জন স্কুল পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এ দিন বিক্রমের সঙ্গে গ্রাউন্ড স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে হাসি মুখেই কথা বলেন তিনি। এক ছাত্র যখন তাঁকে জানায়, সে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চায়, প্রধানমন্ত্রী তখন তাঁকে হেসে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন প্রধানমন্ত্রী নয়?’’

তবে এখনও আশার আলো দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যে কোনও মুহূর্তে হয়তো ফের সংযোগ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আশায় রয়েছে গোটা দেশ।

দেখুন লাইভ

 

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on September 7, 2019 12:56 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন