বিজ্ঞাপন

আমি কোনও রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানে যাইনি: সিধু

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এর পরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন

ইমরান খান এবং নভজ্যোৎ সিংহ সিধু

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। এর পরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

বিজেপি, অকালি দল, শিবসেনা-সহ কংগ্রেসের নেতারা সিধুর প্রবল সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার সেই সমালোচনার জবাব দিতে চণ্ডীগড়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সিধু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানে যাইনি। আমার এক বন্ধুর আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম।’’

কেন তিনি আলিঙ্গন করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান কমর সিংহ বাজওয়াকে? সিধু এ দিন জানিয়েছেন, শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য কর্তারপুর সাহিবের দরজা খুলে যেতে পারে। সে কথা শুনে তাঁর আনন্দ হয়েছিল। আর সেই আনন্দেই তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কমর সিংহ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেছিলেন। বিজেপি যে হেতু সিধুর সমালোচনা করেছে, সে কারণেই এ দিন বিজেপিকে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শান্তি উদ্যোগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বাসে চড়ে লাহৌর গিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫-য় আফগানিস্তান থেকে ফেরার পথে আচমকা পাকিস্তানে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নাতনির বিয়ের দিন তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন তোলেন না।’’

ফের পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন ইমরান খান, বুঝিয়ে দিলেন আধ ঘণ্টার ভাষণে

অন্য দিকে এ দিন সিধুকে সমর্থন করে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, সিধু ‘শান্তির দূত’ হয়ে পাকিস্তানে এসেছিলেন। সিধুর সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর পাশে দাঁড়ান ইমরান খান। ইমরানের কথায়, ‘‘সিধু শান্তির দূত হয়ে পাকিস্তানে এসেছিলেন। ভারতে যাঁরা সিধুর সমালোচনা করেছেন তাঁরা উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টাকে আঘাত করছেন।’’

ক্রিকেট জীবনের বন্ধু ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একেবারে সামনের সারিতে বসেছিলেন সিধু। পাক সেনাপ্রধান তাঁকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে এগিয়ে আসেন। সিধুর দাবি, কমর সিংহ বাজওয়া তাঁকে জানান, গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব পর্যন্ত একটি করিডর খোলার চেষ্টা করছে পাক সরকার। দু’টি তীর্থস্থানের মধ্যে দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। সিধু জানান, কর্তারপুর সাহিবে যেতে আগ্রহী ভারতের কোটি কোটি শিখ তীর্থযাত্রী। পাক সেনাপ্রধানের কথা শুনে তাঁর আনন্দ হয়েছিল। আলিঙ্গন তারই বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন সিধু। সিধু আরও জানান, শপথগ্রহণের পরে তাঁর সঙ্গে পাক সেনাপ্রধানের আর কোনও বৈঠক হয়নি।

0
0

This post was last modified on August 22, 2018 9:35 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন