বিজ্ঞাপন

Sri Lanka Crisis: প্রাণ বাঁচাতে নৌঘাঁটিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

Sri Lanka Crisis ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ভেঙে পড়েছে সে দেশের অর্থনীতি। দেখা দিয়েছে অভাব। নেই জ্বালানি, নেই ওষুধ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Sri Lanka Crisis ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ভেঙে পড়েছে সে দেশের অর্থনীতি। দেখা দিয়েছে অভাব। নেই জ্বালানি, নেই ওষুধ। যার ফলে সব ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ ও প্রেসিডেনট গোতাবায়ার উপর। তাঁদের হাতেই দেশের এই দুর্দশা বলে মনে করছে গোটা দেশের সাধারণ নাগরিক থেকে দেশের বিশিষ্টরাও। ক্ষোভের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষর বাড়িতে। অভিযোগ, বাড়ির ভিতর থেকে উন্মত্ত জনতাকে লক্ষ্য করে নাকি গুলিও ছোড়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে তো আর দেশের পরিস্থিতি ফিরবে না। তা খুব ভাল করেই জানে মানুষ। যে কারণে রাগ যেন কিছুতেই পড়ছে না। হামবানটোটায় অবস্থিত রাজাপক্ষের পৈত্রিক বাড়িতে আগু লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভরত মানুষ। এছাড়া পর পর হামলা চালানো হয়েছে নেতামন্ত্রীদের বাড়িতে। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী কেহেলিয়া রামবুওয়েল্লা, সাংসদ প্রসন্ন রণতুঙ্গা, প্রাক্তন স্বাস্থমন্ত্রী চান্না জয়াসুমন-সহ আরও অনেকে।

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকাও। শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির জন্য আঙুল উঠছে চিনের দিকে। বলা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার এই গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণ চিনে কাছে ঋণ। এবং বর্তমান সরকারকে চিনপন্থীও বলছে দেশের সাধারণ মানুষ। শাসক দলের একনায়কতন্ত্র এবং বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই যে দেশের ভরাডুবি ঘটেছে তা স্বষ্ট। তার উপর গত দু’বছরে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও ভয়ানক রূপ নিয়েছে।

এদিকে শ্রীলঙ্কার অনেকটা আয়ই আশে ট্যুরিজম থেকে। ২০১৯-এর এপ্রিলে কলম্বোয় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর সেখানে বিদেশি পর্যটক যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় বিস্ফোরণে ২৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ছিলেন অনেক পর্যটকও। ২০২০-তে শুরু হয়ে যায় কোভিড সংক্রমণ। লকডাউন হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। তার আগে পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে শুধু রোজগার হয়েছে ট্যুরিজম থেকে। ২০১৮-তে শ্রীলঙ্কা ট্যুরিজম থেকেই রোজগার করেছিল প্রায় ৪৪০ কোটি ডলার। ২০১৯-এ সেটা ৩৬০-এর পর ২০২০-তে সেটা দাঁড়ায় ৭ কোটি। আর ২০২১-এ তা আরও কমে দাঁড়ায় সাড়ে ৫ কোটি। যা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)

0
0

This post was last modified on May 10, 2022 4:50 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন