বিজ্ঞাপন

পায়েল চক্রবর্তী, হোটেল থেকে পাওয়া গেল অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ

পায়েল চক্রবর্তী টালিগঞ্জের পরিচিত নাম। বিভিন্ন সিরিয়ালে তাঁকে দেখেছে সকলে। সেই পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শিলিগুড়ির এক হোটেল থেকে।
বিজ্ঞাপন

পায়েল চক্রবর্তী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পায়েল চক্রবর্তী টালিগঞ্জের পরিচিত নাম। বিভিন্ন সিরিয়ালে তাঁকে দেখেছে সকলে। সেই পায়েল চক্রবর্তীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শিলিগুড়ির এক হোটেল থেকে। বুধবার রাতেই উদ্ধার হয় পায়েলের দেহ। কিন্তু তখনও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালেই জানা যায় তিনি টলিউডের অভিনেত্রী।

হোটেল যুমার ১৩ নম্বর ঘরে ছিলেন পায়েল। তিনি শিলিগুড়ির হোটেলে কী করছিলেন তা জানা যায়নি এখনও। একাই ছিলেন। ‘চোখের তারা তুই’, ‘রুপায়ণ’এর মতো সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে ৩৮ বছরের এই অভিনেত্রীকে। হোটেল সূত্রে খবর, পায়েল হোটেলের রেজিস্টারের নিজেকে বিবাহিত বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে তাঁর একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। হোটেলের লোককে বলে রেখেছিলেন পর দিন সকালে তাড়াতাড়ি ডেকে দিতে কিন্তু সকালে যখন তাঁর ঘরে নক করা হয় তিনি সাড়া দেননি। ১১টা পর্যন্ত না ওঠায় পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে পায়েলকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করে।

পায়েল চক্রবর্তী

হোটেলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, পায়েলের পর দিন গ্যাংটক যাওয়ার কথা ছিল। তেমনটাই তিনি জানিয়েছিলেন হোটেলকে। অনেক রাত পর্যন্ত পায়েলকে ফোনে কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে শোনা যায়। কিন্তু দেহ উদ্ধারের সময় পায়েলের ফোন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাওয়া যায়নি কোনও সুইসাইড নোটও। মধ্যরাত পর্যন্ত ফোনে কথা বলার পর কোথায় গেল সেই ফোন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কোনও দ্বিতীয় ব্যাক্তির উপস্থিতি এখনই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

থ্রি স্মোকিং ব্যারেলস ছবির ট্রেলার মুক্তি পেল কলকাতায়

পায়েলের একটি ন’বছরের ছেলে রয়েছে। কিন্তু তাঁর কাছে থাকে না ছেলে। ছেলেকে সব সময় খুব মিস করতেন বলে জানা গিয়েছে। হতাশাই আত্মহত্য়ার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  ২০১৫ সালে তাঁর স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। সেই সময় থেকেই তাঁর টলিউডে কাজ শুরু। সেই থেকেই দু’জনে আলাদা থাকেন। ছেলে থাকে বাবার সঙ্গে। সমস্যার শুরু পায়েলের অভিনয়কে কেন্দ্র করেই। অভিনয় করার জন্য পরিবারকে বেশি সময় দিতে পারছিলেন না তিনি।

নৈহাটির মেয়ে হলেও পায়েল থাকতেন গড়িয়ার একটি ফ্ল্যাটে। একাই থাকতেন সেখানে। কিছুদিন আগেই টানা শুটিং সেরেছেন। বুধবার রাঁচী যাওয়ার কথা ছিল ‘সাত ভাই চম্মার’ শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু মঙ্গলবারই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার রাতে শেষ পরিবারের লোক জনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। তার পরই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মোবাইল। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে শিলিগুড়ি ছুটে গিয়েছেন পায়েলের বাবা। বিভিন্ন সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ, সিনেমার দেখা গিয়েছে পায়েলকে। দেবের ছবি ‘ককপিট’এও ছিলেন তিনি।

0
0

This post was last modified on September 6, 2018 8:31 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন