বিজ্ঞাপন

পঁচিশে নচিকেতা: দু’চোখে আকাশ, ডানায় আগুন নিয়ে উড়ছে আগুনপাখি

১৯৯৩ সালের অগস্ট মাস। বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ায় নচিকেতা পা রেখেছিলেন ‘এই বেশ ভাল আছি’ বলে। সেই ক্যাসেট প্রকাশের পর পঁচিশ বছর পার হয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পঁচিশে নচিকেতা, আর তারই উদ্‌যাপনে মগ্ন আগুনপাখি। তাদেরই আয়োজনে আজ রবীন্দ্র সদনে ‘পঁচিশে নচি’।

১৯৯৩ সালের অগস্ট মাস। বাংলা সঙ্গীত দুনিয়ায় নচিকেতা পা রেখেছিলেন ‘এই বেশ ভাল আছি’ বলে। সেই ক্যাসেট প্রকাশের পর পঁচিশ বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, আগুন আজও জ্বলছে শিল্পীর কলমে, গলায়। তারই উত্তাপে বেঁচে রয়েছে কয়েকটা প্রজন্ম। আজও তারা নচিকেতার গানে খুঁজে পায় বেঁচে থাকার ভরসা। সেই ভরসা পঁচিশ বছরে নচিকেতার অনুরাগী, শ্রোতার সংখ্যা কেবল বাড়িয়েই গিয়েছে। তারাও একই ভাবে গলা মিলিয়ে বলে যায়, ‘…স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখে মন’।

নতুন প্রজন্ম সেই সময়টায় কোনও গানের মধ্যেই নিজেকে আর খুঁজে পাচ্ছিল না। দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মধ্যে কোথাও কোনও গান তাদের মনকে নাড়া দিচ্ছিল না সেই সময়টায়। আসলে তার আগে তৈরি হওয়া গানের ভিতর কেমন যেন একটা অবাস্তবতা জড়িয়ে ছিল। কেমন যেন বড্ড বেশি ফুল-চাঁদ-তারা-জোছনা… যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছিল না সেই নতুন প্রজন্ম। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই অস্থির সময়ের নানা শব্দ-বাক্যতে সুরের জাদুকাঠি ছুঁইয়ে ময়দানে এলেন নচিকেতা। এসেই জয় করে নিলেন সব।

‘একদিন লোক গানের মিউজিয়াম হয়ে উঠবে’

নতুন প্রজন্ম খুঁজে পেল নীলাঞ্জনাকে। ‘স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া’ কেমন করে যেন নিজের সঙ্গে মিলে গেল। মিলে গেল সাম্প্রদায়িক হানাহানির ছবিও— ভেঙে গেলে জোড়া যায় মন্দির মজসিদ, ভাঙা মন ভাঙা কাচ যায় না… কোথায় যেন বাবরি মসজিদ ভাঙার পরবর্তী ঘটনার সঙ্গে সরাসরি রিলেট করতে পারলেন শ্রোতারা। ‘যখন সময় থমকে দাঁড়ায়’ তখন কী করে মানুষ— নচিকেতা শুনিয়ে দিলেন সেই যাপনের গান। তার পর বছরের পর বছর ধরে একই রকম ভাবে সময়কে নচিকেতা উপস্থাপন করে গিয়েছেন নিজের গানে। প্রশ্ন তুলতে শিখিয়েছেন গানে। প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছেন। এ বার সে সবেরই পঁচিশ বছর।

 

সেই অর্থে দেখতে গেলে ‘আগুনপাখি’ নচিকেতারই ফ্যান ক্লাব। কিন্তু, নচিকেতা বা আগুনপাখির অন্য সদস্যেরা এটাকে একটা ‘বোধ’ হিসাবেই দেখেন। নচিকেতার জীবনবোধ। সেই বোধকেই ওঁরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এ দিনের অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রির অর্থ দিয়ে কলকাতার টেগোর ফাউন্ডেশন স্কুলের স্পেশ্যাল চাইল্ডদের স্কলারশিপ দেওয়া হবে। স্কলারশিপ দেওয়া হবে মুর্শিদাবাদের কালমেঘা শিশুতীর্থের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের। ওদের হাতে স্কলারশিপ তুলে দেবেন নচিকেতা।

দু’চোখে আকাশ আর ডানায় আগুন নিয়ে আজ রবীন্দ্রসদনে আগুনপাখি।

পঁচিশে নচি। ছবি সৌজন্যে আগুনপাখি।

+2
0

This post was last modified on August 12, 2018 4:43 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন