বিজ্ঞাপন

৯/১১ এক ভয়ঙ্কর ধ্বংসের ইতিহাস, ১৮ বছর পরও ততটাই আতঙ্ক তাজা

৯/১১ এক ভয়ঙ্কর ধ্বংসের ইতিহাসের সাক্ষী আমেরিকা। দেখতে দেখতে চোখের সামনে দিয়ে কেটে গিয়েছে ১৮টা বছর। ৯/১১ অ্যাডাল্ট হয়েছে। কিন্তু একরাশ ক্ষতচিহ্ণ বুকে নিয়ে।
বিজ্ঞাপন

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। ছবি: উইকিপিডিয়া

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ৯/১১ এক ভয়ঙ্কর ধ্বংসের ইতিহাসের সাক্ষী আমেরিকা। দেখতে দেখতে চোখের সামনে দিয়ে কেটে গিয়েছে ১৮টা বছর। ৯/১১ অ্যাডাল্ট হয়েছে। কিন্তু একরাশ ক্ষতচিহ্ণ বুকে নিয়ে। যা কোনও সময় ঘড়ি এসে মুছে দিতে পারবে না এই পৃথিবীর বুক থেকে।  কথা আছে সময় সব ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে দেয়। হয়তো প্রলেপ লেগেছে, হয়তো ১৮ বছর আগে আজকের দিনে যাঁদের জীবন শূন্য হয়ে গিয়েছিল তাঁরা তাঁদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ক্ষত? না কাটেনি। তাই বার বার পৃথিবীর ইতিহাসে ফিরে ফিরে আসে এই দিন।

গ্রাউন্ড জিরোতে প্রতিবারের মতো এ বারও হাজির হয়েছিলেন সেই তিন হাজার মানুষের পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, কাছের মানুষরা। কারও চোখের জল পড়েছে সবার সামনে, কেউ আজও গুমরে মরে ওই অট্টালিকার ধুলো হয়ে যাওয়া ইট-কাঠ-পাথরে। সত্যিই আজ শূন্য সেই জায়গা। এমনই শূন্য কত কত বুক।

সালটা ২০০১। দিন ৯ সেপ্টেম্বর। পেন্টাগনের আকাশে তখনও শোক নেমে আসেনি। শহর প্রতিদিনের সকাল সকালই নেমে পড়েছিল রাস্তায়। ব্যস্ত দিনের শুরু হয়ে গিয়েছিল শেখানে। সকাল তখন ঠিক ৮টা বেজে ৪৬ মিনিট হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দিকে ধেয়ে আসতে দেখা গেল এক বিমানকে। যা সরাসরি এসে ঢুকে গেল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি টাওয়ারে। একদিক দিয়ে ঢুকে আর একদিক দিয়ে সে বিমান বেরিয়ে এল একটা আগুনের গোলার আকার নিয়ে। আর মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল গোটা ১১০ তলার বাড়িটা।

ঠিক এক ঘণ্টা ৪২ মিনিটের মাথায় আরও একটি যাত্রী বোঝাই বিমান ঢুকে পড়ল দ্বিতীয় টাওয়ারের শরীরে। সেই বাড়িটিও ছিল ১১০ তলা।  যেন অ্যাকশন রিপ্লে ঘটল। এই দুটো আক্রমণ চালিয়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১১ ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৭৫।

১৯জন আল-কায়দা উগ্রপন্থির চারটি যাত্রী বোঝাই বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউস আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল। বাকি দুটো প্ল্যান ভেস্তে গিয়েছিল। পেন্টাগন ধ্বংস করার লক্ষ্য ছিল এএ ৭৭-এর আর হোয়াইট হাউসের জন্য রাখা হয়েছিল ইউএ ৯৩। পেন্টাগনে ভেঙে পড়েছিল এএ ৭৭। তবে সেখানে লক্ষ্যে সফল হয়নি। পেন্টাগনের বিল্ডিংয়ের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। চতুর্থ যে বিমানটি ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল কিন্তু এক যাত্রীর বাঁধায় সেই বিমান আগেই পেনসিলভানিয়ার কাছে স্তনিক্রিক টাউনশিপে ভেঙে পড়ে।

তিন বছর পর ২০০৪-এ ওসামা বিন লাদেন এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল আলকায়দা। ২০১১তে পাকিস্তানে আমেরিকান নেভির সিল টিম সিক্সের হাতে মৃত্যু হয় লাদেনের। যে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২২৯৯৬ জনের। তাঁর মধ্যে ছিল চারটি বিমানে ১৯জন উগ্রপন্থী। আহত হয়েছিলেন ছ’হাজারের উপরে।

(ইতিহাসে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on September 13, 2019 2:14 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন