জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদে ফুঁসছে আমেরিকা, দোষীদের শাস্তি চেয়ে পথে মানুষের ঢল

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুজর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদে ফুঁসছে আমেরিকা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় পথে নেমেছে মানুষের ঢল।

চেক জালিয়াতির অভিযোগে গত সপ্তাহে মিনিয়াপলিসে জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে নৃশংস অত্যাচার চালায় পুলিশ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে বার বার আর্জি জানান তিনি। তখন তাঁর গলায় হাঁটু দিয়ে চাপতে থাকেন ডেরেক শভিন নামের এক পুলিশ কর্মী। জর্জের পিঠের উপর চাপ দিয়ে বসেছিলেন আরও দুই পুলিশকর্মী। তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জর্জ ফ্লয়েডের। এর পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে আমেরিকা।

খুনি পুলিশের শাস্তি চেয়ে গত ১০ দিন ধরে প্রতিবাদে ফুঁসছে ডোনাল্ট ট্রাম্পের দেশ। প্রায় সব বড় শহরেই বিক্ষোভ হচ্ছে। সে সব জায়গাতেই কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। নামানো হয় ন্যাশনাল গার্ড। বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা নামানোর হুমকিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বুধবার থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া মোটের উপর আমেরিকা শান্তই।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

 স্বামীর মৃত্যুর প্রায় আট দিন পরে, মঙ্গলবারই প্রথম বার প্রকাশ্যে দেখা যায় তাঁর স্ত্রী রক্সি ওয়াশিংটনকে। ওই দিন মিনিয়াপোলিসের সিটি হলে জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণসভা ছিল। মায়ের সঙ্গেই ছিল জর্জের ছ’বছরের মেয়ে জিয়ানা।

সোমবার হোয়াইট হাউস লাগোয়া একটি পার্ক থেকে বলপ্রয়োগ করেই বিক্ষোভকারীদের হটিয়েছিল পুলিশ। কাল দেখা গেল, আরও বড় জমায়েত। কার্ফু শুরুর পরেও। পুলিশ শুধু নজর রাখল দূর থেকে। বুধবারও নিউ ইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো বেশ কিছু শহরে কার্ফু ভেঙে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়েছেন প্রতিবাদীদের একাংশ। লুটপাট, ভাঙচুর অবশ্য তেমন হয়নি। সূত্রের খবর, ২৬ মে থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোটা ঘটনায় ডেরেক শভিন নামে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চার্জ আনা হয়েছে। ঘটনার সময় তাঁকে সাহায্য করার জন্য আরও তিন পুলিশকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, তাতে বিক্ষোভ থামেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের উপরেই গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রতিবাদীরা।


(বিদেশের আরও খবরের জন্য এখানে ক্লিক করুন)