দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি, ভাসল কলকাতার বিস্তির্ণ অঞ্চল

বৃষ্টি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: রবিবার বৃষ্টি হয়েছে সাকূল্যে ২ ঘণ্টা। খুব বেশি হলে এটা। কোথাও কোতাও দেড় ঘণ্টার মধ্যেই থেমে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। তার পর চলেছে কখনও টিপটিপ, কখনও ছিটেফোটা আবার কখনও গতি বাড়িয়েছে সেই বৃষ্টি। কিন্তু তাতেই যা হাল হল কলকাতার তাতে লন্ডন না হয়ে শহর আমার ভেনিসে হয়ে গেল। ভাগ্যিস রবিবারের বাজার ছিল না হলে নাজেহাল অবস্থা হত শহরবাসীর। তাও রবিবারও কম নাজেহাল হতে হল না মানুষকে। কেউ বাস থেকে নামলেন এক হাঁটু জলে, কেউ আবার মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে প্রায় সাঁতরে পৌঁছলেন গন্তব্যে।

কোথাও জল জমল গোড়ালি পর্যন্ত, কোথাও আবার গোড়ালি ছাড়িয়ে আরও খানিকটটা। ঠনঠনিয়া থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ, চাঁদনি ধর্মতলা জলের ভাসাভাসি। স্ট্র্যান্ড রোডের বিস্তির্ণ এলাকা ডুবে গেল জলে। সেই তালিকায় রয়েছে দমদম আন্ডারপাস, আমারস্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, উল্টোডাঙা তো থাকেই। কিন্তু তাতে অবশ্যই যোগ হল সেক্টর ফাইভ, সল্টলেক, বাইপাসের বিস্তির্ণ অঞ্চল।

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচ, তাও আবার লিগের উদ্বোধনী খেলাই

দুপুর তিনটে পর্যন্ত সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বালিগঞ্জ অঞ্চলে। আবহাওয়া দপতর জানাচ্ছে সেই বৃষ্টি পাতের পরিমাণ ৫৭ মিলিমিটার। মিলিমিটারের হিসেবে মালিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৩০, ধাপা ৪৬, উল্টোডাঙা ২৯.৭২, পামারব্রিজ ৫০, ঠনঠনিয়া ৪৬, মোমিনপুর ২৮। যোধপুর ২৭, কালীঘাট ৩৫মিমি। বৃষ্টি আরও ২৪ ঘণ্টা চলার পূর্বাভাস রয়েছে।

শনিবারও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকেল থেকে বৃষ্টি ছিল। কিন্তু বাকি অংশে ছিল প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম। সারাদিন মেঘ করে থাকলেও শহরতলীতে বৃষ্টি হয়নি। রবিবার সকাল থেকেই শহর ও শহরতলীতে আদ্রতা ছিল অনেক বেশি। রোদ না উঠলেও প্রচন্ড ঘামে জেড়বার হতে হচ্ছিল মানুষকে। দুপুরের বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও জলে যন্ত্রণাও দিল সঙ্গে।