জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: How Dare You ? ১৬ বছরের খুদে গ্রেটা থুনবার্গ বিশ্বের মানুষের সামনে এই একটাই প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলেন, How Dare You ? কেন এভাবে মানুষ কষ্ট পাবে, কেন এভাবে মানুষ মরবে… আরও অনেকগুলো কেনর জন্ম দিয়ে গেলেন গ্রেটা। যে পড়াশোনা ছেড়ে জলবায়ু নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। সেই গ্রেটাই সোমবার সবাইকে চুপ করিয়ে দিলেন তাঁর ভাষণে। হয়ে উঠেছেন জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশ রক্ষা নিয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ।
এই সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন
রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় রাষ্ট্রনেতাদেরই তীব্র আক্রমণ করলেন। সরাসরি বলে দিলেন, সবাই ফাঁকা আওয়াজ দেন। ২০১৮ সালেই এই আন্দোলনে নেমে স্কুল ছেড়েছিলেন সুইডেনের মেয়ে। সুইডেন সংসদের বাইরে প্রতিবাদে বসেন। তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় বলার জন্য। আর তিনি যা বললেন, তাতে রক্ত ঝড়ল, উঠল হাততালির ঝড়।
শুরুই করলেন, ‘‘আমরা তোমায় দেখছি?’’ দিয়ে। যা শুনে হাততালিতে ফেঁঠে পড়ল প্রেক্ষাগৃহ। এর পর চলতে থাকে গ্রেটার বক্তব্য। ‘‘এই সব ভুল”, বলেন গ্রেটা। তিনি বলেন, ‘‘আমার এখানে থাকা উচিৎ নয়। আমার স্কুলে ফিরে যাওয়া উচিৎ সাগরের উল্টোপাড়ে। সকলেই যুব সমাজের কছে আসে আশা নিয়ে। কত দুঃসাহস? How Dare You ।’’
”People are suffering, people are dying, entire ecosystems are collapsing. We are in the beginning of a mass extinction and all you can talk about is money and fairytales of eternal economic growth.” Watch Greta Thunberg speak at the UN Monday morning. https://t.co/Akkxm9sXdr pic.twitter.com/ahHKlhbYaE
— WIRED (@WIRED) September 23, 2019
গ্রেটা বলতে থাকেন, ‘‘আপনি আমার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছেন এবং আমার ছোটবেলা আমরা ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে। এখনও পর্যন্ত আমি ভাগ্যবতী।’’
গ্রেটা বলতে থাকেন, ‘‘মানুষ কষ্টে আছে। মানুষ মরে যাচ্ছে। পুরো ইকোসিস্টেম ভেঙে পড়েছে। গণ বিলুপ্তির শুরু হয়ে গিয়েছে। আর আপনারা সবাই শুধু টাকার কথা বলছেন এবং শাশ্বত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি নিয়ে রূপ কথার গল্প বলছেন, এত দুঃসাহস আপনার।’’
‘’৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিজ্ঞান ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। How Dare you এখানে এসে আপনি বলছেন আপনি অনেক কিছু করেছেন। আপনি বলছেন আপনি আমাদের শুনতে পারছেন এবং গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। কিন্তু এটার কোনও গুরুত্ব নেই আমি কতটা দুঃখিত আর কতটা রেগে আছি।’’
এর পর ধিরে ধিরে হিসেব দিয়েছেন গ্রেটা। দেখুন সেই ভিডিও যেখানে গ্রেটার কঠিন গলার সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল অন্তরের কান্নাও।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)