জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক হবে কিনা তা নিয়ে নানা মুণির নানা মত। কেউ বলছেন, ‘‘পরীক্ষা না হলে পিছিয়ে পড়বেন ছাত্র-ছাত্রীরা।’’ কেউ বলছেন, ‘‘আগে স্বাস্থ্য তার পর সব, তাই আপাতত বন্ধ থাক পরীক্ষা।’’ আর এই টানাপড়েনের মধ্যে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক হওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের উপর ছাড়ল রাজ্য সরকার। পরীক্ষা আদৌ হওয়া উচিৎ কিনা, হলে কী ভাবে হবে না হলে কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ণ হবে এই সব বিষয় নিয়ে পড়ুয়া, অভিভাবক এবং সাদারণ মানুষের কাছে মতামত চাওয়া হল। এদিন টুইট করে তিনটি ই-মেল আইডি দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সবাই সবার মতামত জানাতে পারবেন।
ই-মেল আইডি তিনটি হল, pbssm.spo@gmail.com, commissionerschooleducation@gmail.com, wbssed@gmail.com । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয় এই বার্তা। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সবার মতামত আমাদের এই তিনটি ই-মেলে জানান ৭ জুন দুপুর ২টোর মধ্যে। আমাদের উপদেশ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’
যে নোটিসটি রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে সেটিও টুইট করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটে আরও লেখা হয়েচে, ‘‘আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ আমার কাছে সবার আগে। এই কারণে আমরা ২০২১ দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর বোর্ডের পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি। পাশাপাশি আমরা সবার মতামত জানতে চাইছি অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, সিভিল সোসাইটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে।’’
I request each one of you to send us your feedback on the issue by e-mailing us on following addresses by June 7th, 2021, 2 PM.
– pbssm.spo@gmail.com
-commissionerschooleducation@gmail.com
-wbssed@gmail.comYour suggestions will be valuable to us. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 6, 2021
গত বুধবার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে এই দুই পরীক্ষা নিয়ে। সেই কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। এই কমিটিতে রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের শীর্ষ কর্তারা। সঙ্গে রয়েছেন মনোবিদ, চিকিৎসক এবং রাজ্য শিশু আধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তবে এবার বল রাজ্য সরকার, বিশেষজ্ঞ কমিটি হয়ে সাধারণের কোর্টে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিক ও অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার নিয়মেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। বিশেষ বিষয়গুলো ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া হবে না জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার সময় অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরও পরীক্ষা হওয়া নিরাপদ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার সবটাই সাধারণ মানুষের হাতে। তাঁরা কী মতামত দেন সেটাই দেখার।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)