জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ এর শুরুতেই। তবে ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক স্তরে শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই আবহেই এ বার মুখ খুললেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আসন্ন নির্বাচনে কোনও বড় দলের সঙ্গে জোটে যাবে না তাঁর দল। গত বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি। এর পর কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তারা মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন লড়ে। কিন্তু দুই নির্বাচনেই সমাজবাদী পার্টির তেমন কোনও লাভ হয়নি। সেই জায়গা থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এখনও প্রায় ৯ মাস বাকি নির্বাচনের। এই ক’মাসে রাজপাট দখলের সিঁড়িভাঙা অঙ্কের এই সমীকরণ পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে বলে মনে করছে তারা।
এ দিন অখিলেশ এক সাক্ষাৎকারে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের আমলে ভীষণ বিরক্ত এবং হতাশ। কারণ হিসাবে তিনি রাজ্য সরকারের অব্যবস্থা এবং ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন। মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে কৃষক এবং সাধারণ মানুষের প্রতি রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবের কারণেই রাজ্যবাসী বিজেপিকে শিক্ষা দিতে চায় বলেই মন্তব্য করেছেন অখিলেশ। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ সালে হবে। অখিলেশের কথায়, ‘‘কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কী ভাবে মানুষ লড়াই করেছে। কী ভাবে ঈশ্বরের কৃপাকেই একমাত্র অবলম্বন হিসেবে ধরে নিয়েছে। কী ভাবে তারা নিজেরাই বেড, অক্সিজেন এবং চিকিত্সার ব্যবস্থা নিজেরা করে নিয়েছে। আমাদের সরকারের আমলে তৈরি হওয়া পরিকাঠামোই কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে।’’ এ সবের জবাবই মানুষ ভোটবাক্সে দেবে বলে মন্তব্য করেন অখিলেশ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন অখিলেশ। তিনি বলেন, ‘‘সমাজবাদী পার্টি বড় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাবে না। আমরা ছোট দলগুলির সঙ্গে মিলেমিশে ভোটে লড়ব। উত্তরপ্রদেশের মানুষই ঠিক করবেন, কোন দল তাদের জন্য ভাল।’’
অখিলেশ যে দিন এমন মন্তব্য করছেন, সেই দিনই মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে জেতা ৯ বিধায়ক অখিলেশের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা অখিলেশের কাছে যান। যদিও ওই বিধায়কদের প্রত্যেককেই গত চার বছরের মধ্যে মায়াবতী তাঁর দল থেকে বহিষ্কার করেন। যে হেতু দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাই ওই বিধায়কেরা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়েননি। তাঁরা দলহীন বিধায়ক থেকে গিয়েছেন। সেই বিধায়কেরা অখিলেশের সঙ্গে দেখা করায় রাজনৈতিক জল্পনা বেড়েছে অনেকটাই।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)