হাওড়া থেকে আরিহিটোলার লঞ্চে উঠেছিলেন এক দম্পতি। সবাই ধরেই নিয়েছিল বাকিদের মতোই তাঁরাও আহিরিটোলায় নামবে। কিন্তু হঠাৎই সবাইকে চমকে দিয়ে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের হাত ধরে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু মৃত্যু তাদের ভাগ্যে ছিল না। সঙ্গে সঙ্গেই লঞ্চের তিন কর্মী ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই দম্পতিকে বাঁচিয়ে দেন। তাঁদের যখন বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তখনও তাঁরা বলছিলেন, তাঁদের ছেড়ে দিতে, তাঁদের মরতে দিতে। তাঁরা এমনও বলেন, লাভ হবে না তাঁরা আবারও মরণ ঝাঁপ দেবেন। তাও চোখের সামনে এই দম্পতিকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারেননি লঞ্চের কর্মীরা। পরে জানা যায়, সন্তান শোকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিডনির সমস্যায় কিছুদিন আগেই ১২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের একমাত্র মেয়ের। সেই শোক সামলে উঠতে পারেননি। সে কারণেই এই পথ বেছে নেওয়া। তরুণ কৃষ্ণ পাল, অর্ঘ্য ঘোষ ও রামকুমার মাইতির উপস্থিত বুদ্ধিতে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন সন্তানহারা বাবা-মা।