ভারতের Middle Class Family কঠোর পরিশ্রম করে, বিয়ের জন্য সোনা জমায়, কিন্তু অবসরের পরের সময়ের জন্য কোনও পরিকল্পনাই থাকে না। তারা কেজিতে সোনা কেনে কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য বীমা নেই। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, বিশ্লেষক হার্দিক জোশী ভারতের মধ্যবিত্তরা অর্থ সম্পর্কে কীভাবে চিন্তা করে এবং প্রায়শই কী ভুল হয় সে সম্পর্কে কিছু কঠিন সত্য শেয়ার করেছেন। যা ভীষণ সত্যি।
জোশী লিঙ্কডিনে লিখেছেন, “আমরা বাচ্চাদের আইআইটিতে পাঠাই, কিন্তু আইটিআর কীভাবে দাখিল করতে হয় তা শেখাই না। আমরা বিয়ের পরিকল্পনা করি, কিন্তু অবসরের জন্য নয়। আমরা কেজিতে সোনা কিনি, কিন্তু স্বাস্থ্য বীমা নেই।”
খুব কম লোকই তাদের বাচ্চাদের আয়কর রিটার্ন কীভাবে দাখিল করতে হয় বা বাজেট পরিকল্পনা কীভাবে করতে হয় তা শেখায় না। তাছাড়া, জোশী কিছু পরিচিত বিষয় শেয়ার করেছেন। যেমন, ছেলে চাকরি পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে, বা বিয়ে দিয়ে দাও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে, এফডিতে টাকা রাখো, এটি নিরাপদ। ভেবে দেখুন, আমাদের আশপাশে এবং আমরা নিজেরাও এমনটাই নিয়মিত করে থাকি। এগুলো কোনও মনগড়া উদাহরণ নয়। লক্ষ লক্ষ পরিবার এভাবেই তাদের আর্থিক পরিকল্পনা করে—আবেগ, ঐতিহ্য এবং আশা দিয়ে, কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে নয়।
আরও, ভারতীয় সংস্কৃতি প্রায়শই ত্যাগ এবং সংগ্রাম উদযাপন করে। মানুষ গর্বের সঙ্গে বলে যে তারা কতটা কম ব্যয় করেছে বা কতটা ত্যাগ করেছে। কিন্তু আমরা খুব কমই টেকসই বা দীর্ঘ মেয়াদি সম্পদ গড়ে তোলার কথা বলি।
এবং এটি কেবল ব্যক্তিদের সম্পর্কে নয়। এটি একটি পরিবার-ব্যাপী, এমনকি প্রজন্ম-ব্যাপী সমস্যা। “প্রজন্মগত ট্রমা চলে আসে, কিন্তু প্রজন্মের আর্থিক জ্ঞান নয়,” জোশী লিখেছেন।
তিনি একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক মানসিকতার কথা উল্লেখ করেছেন, যেখআনে বাজেট, ঝুঁকি সচেতনতা বা আর্থিক শিক্ষার কোনও স্থান নেই। “কোনও বাজেট নেই। ঝুঁকিগত পরিকল্পনা নেই। আর্থিক স্বচ্ছ্বতা নেই। কেবল আবেগ এবং অন্ধ বিশ্বাস,” তিনি বলেন।
একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। সাফল্য কেবল সোনা বা জাঁকজমকপূর্ণ বিবাহের মাধ্যমে নয়, আর্থিক সুরক্ষা এবং মানসিক শান্তির মাধ্যমে পরিমাপ করা উচিত।
জোশী জোর দিয়েছিলেন যে ২০২৫ সালে আমাদের বাচ্চাদের কেবল অর্থ উপার্জন করার পদ্ধতি নয়, কীভাবে এটি পরিচালনা করতে হয় তা শেখানো দরকার।
তিনি তাঁর পোস্টটি এই বলে শেষ করেছেন, “অর্থায়ন কেবল ধনীদের জন্য নয়। এটি প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য যারা বেতনের চেকের মধ্যেই জীবন কাটিয়ে দিতে চায়। আসুন সেই ধারা ভেঙে ফেলি।”
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google