ACL 2-এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে হার মোহনবাগানের

ছবি-মোহনবাগান এক্স

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২- (ACL 2)-এর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ছিল তুর্কমেনিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব আহাল এফকে। গ্রুপ-সির প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠ মোহনবাগানের জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি পাওনা ছিল। ম্যাচের আগে গ্যালারি জুড়ে সাতটি টিফো, সঙ্গে থ্রিডি টিফোও ছিল এদিনের ম্যাচের বাড়তি পাওনা। দলকে সমর্থন করতে গ্যালারি ভরিয়েছিলেন সমর্থকরা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ফুটবল নজর কাড়ল না। বরং জোড়া সুযোগ পেল আহাল এফকে। একটি পোস্ট বাঁচালেও দ্বিতীয়টি টোকা মেরে বাইরে পাঠালেন  বিশাল কাইথ। প্রথমার্ধে এই যা বলার মতো বিষয় ছিল। শেষবেলায় কামিন্স যেভাবে বক্সের মধ্যে বল আকাশে উড়িয়ে বাইরে পাঠালেন তাতে এক স্ট্রাইকারে কতক্ষণ মোলিনা খেলা চালাবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন বিদেশি থেকে পাঁচ বিদেশিতে চলে গিয়ে গোলের মুখ খোলার চেষ্টা করলেন কোচ। গতি বাড়ল ঠিকই কিন্তু গোল হল না। বরং এক গোল হজম করে বসল। আর সেই ০-১ গোলে হেরেই ঘরের মাঠে এসিএল ২ যাত্রা শুরু করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

৩২ মিনিটে ম্যাচের যে নিশ্চিত সুযোগটি এসেছিল তা থেকে আহাল এফকে-র গোল না পাওয়া মোহনবাগানের ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ডান দিক থেকে বেরেনভের একটা নিচু হয়ে আসা ক্রস ক্লিয়ার করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন মোহনবাগান রক্ষণ। সেই বল ধরে মিরজোয়েভ সুলেইমানের শট মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথকে উল্টোদিকে ফেলে গোলে ঢুকে যেতেই পারত না যদি না পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়াত। প্রথমার্ধের এটাই সব থেকে স্পষ্ট সুযোগ। এর পর ৪৩ মিনিটে তাগায়েভ মোহনবাগান বক্সের বাইরে বল পেয়ে গিয়েছিলেন। বল ধরে তিনি কিছুটা সময় নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকেই শট নেন, কিন্তু এবার আর ভুল করেননি বিশাল কাইথ। শট গোলে থাকলেও বিশালের হাতের টোকায় তা বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধে বলার মতো এটুকুই।


দ্বিতীয়ার্ধে গোলশূন্য ম্যাচে কিছুটা প্রানের সঞ্চার করল দুটো পরিবর্ত। ৫৮ মিনিটে কিয়ান নাসিরিকে তুলে জেমি ম্যাকলারেন ও সাহাল আব্দুল সামাদকে তুলে অনিরুদ্ধ থাপাকে নামিয়ে খেলায় গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেন হোসে মোলিনা। আর নেমে প্রথম টাচেই বল নিয়ে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ম্যাকলারেন। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে যান তিনি। ৬৭ মিনিটে কামিন্সের শট অল্পের জন্য বাইরে গেল। কিন্তু ৬৯ মিনিটে মোহনবাগান এই ম্যাচের সব থেকে বড় সুযোগটা হাতছাড়া করল। যখন বক্সের মধ্যে থেকে ম্যাকলারেনকে বল বাড়িয়েছিলেন কামিন্স কিন্তু তাঁর শট প্রতিপক্ষ গোলকিপার শরীর ছুঁড়ে বাঁচিয়ে দেন। যে গোল নিজেই করতে পারতেন কামিন্স, তার পরও কেন জেমিকে বল বাড়ালেন সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে থেকে যাবে এই ম্যাচের।

মোহনবাগান গ্যালারি থেকে নামল থ্রিডি টিফো। ছবি-মোহনবাগান এক্স

৭২ মিনিটে আবারও জোড়া পরিবর্তন করলেন মোলিনা। লিস্টনকে তুলে রবসন ও অভিষেককে তুলে শুভাশিসকে নামিয়ে দিলেন। মোহনবাগান জার্সিতে আরও এক বিদেশি রবসনের পথা চলা শুরু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়েই। ৮২ মিনিটে সাহাল যে মিসটা করলেন সেটাও ক্ষমার অযোগ্য। রবসনের থেকে পাওয়া বল ধরে তিনি যখন বক্সে পৌঁছেছিলেন তখন আহাল রক্ষণ ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। গোলকিপার এগিয়ে এসেছিলেন প্রথম পোস্টে তাও বাইরে পাঠালেন সাহাল। প্রথম থেকেই এদিন ফ্লপ সাহাল। এত মিসের ফল পেতে হল শেষবেলায় যখন ৮৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা আনায়েভ এনভার গোল করে আহাল এফকে-কে এগিয়ে দিলেন।

মোহনবাগান: বিশাল কাইথ, অভিষেক সিং (শুভাশিস বোস), টম আলড্রেড, অ্যালবার্তো রডরিগেজ, আশিস রাই, লিস্টন কোলাসো (রবসন সিলভা), দীপক টাংরি ( (অনিরুদ্ধ থাপা), আপুইয়া,  কিয়ান নাসিরি (জেমি ম্যাকলারেন), সাহাল আব্দুল সামাদ, জেসন কামিন্স

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবর

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle