যেঁচে ISL-এর সমস্যা মেটাতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। সেই মতো এদিন তারা তাদের মতামত জানাল আদালতের কাছে। তবে সেখানে যা উঠে এল তাতে কোনও দায়িত্বই নিল না সরকার। বরং পুরো বিষয়টাই ক্লাবগুলোর কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হল। যদিও ক্লাবগুলোও এমনটাই চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। ১৩ ক্লাবের মধ্যে ১২ ক্লাবই চেয়েছিল নিজেরা আইএসএল আয়োজন করতে। একমাত্র ইস্টবেঙ্গল এই পথে হাঁটেনি। এবার যদি সরকারের এই বক্তব্যে রাজি হয় ফেডারেশন তাহলে ক্লাবরাই আয়োজন করতে চলেছে ২০২৬-এর ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। কিন্তু সেটা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে থাকছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। যেখানে ভারতীয় ফুটবলে এক জনের সঙ্গে আর একজনের মতের মিল হয় না সেখানে নাকি ১২টি ক্লাব মিলে আইএসএল-এর মতো সর্বোচ্চ লিগ আয়োজন করবে। ইস্টবেঙ্গল কী করবে সেটা নিয়ে ভাবার এখনও অনেকটা সময় আছে কারণ, আগে তো আইএসএল আয়োজন হোক!
মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে একটি হিয়ারিং ছিল। যার মূল লক্ষ্য ছিল এআইএফএফ-এর মূল মার্কেটিং পার্টনার ও আইএসএল-এর ভবিষ্যত নিয়ে। ৮ ডিসেম্বর এআইএফএফ ও এফএসডিএল-এর চুক্তি শেষ হয়েছে। আর মঙ্গলবারই কেন্দ্র সরকারের তরফে বার্তা এল। বেশ কয়েকদিন আগেই ১২ ক্লাব একত্রে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছিল, আইএসএল আয়োজন করতে চেয়ে। এবং তার পর দেখা গেল কেন্দ্র সরকার ক্লাবদের এই প্রস্তাবকেই সবুজ সঙ্কেত দিল এবং সুপ্রিম কোর্টকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে।
এর সঙ্গে সব থেকে বড় বার্তাটা সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল যে তাদের তরফে এই লিগ আয়োজনের জন্য কোনও টাকা ব্যয় করা হবে না। তাই ক্লাবগুলোই তা আয়োজন করুক। এবং দুম করে একটা বিশেষ খেলার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, আইনও নেই। সামনে থেকে তো সম্ভবই নয়। আইনের ফাঁক গলে কী কী করা যায় সেটাও খুঁজে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সরকার অ্যাপেক্স কোর্টে তাদের তরফে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সোমবারই।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয় ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। যদিও এবার যে তা হবে না, তা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে এখানে এই প্রশ্নটাও থাকছে, এফএসডিএল-এর মার্কেটিং পার্টনার পাওয়া আদৌ কি সম্ভব? সেক্ষেত্রে মতের মিল হলে তারা আবার ভারতীয় ফুটবলে ফিরবে কিনা তাও আলোচনা সাপেক্ষ। কারণ এই মরসুমে তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরের বছর এআইএফএফ-এর নির্বাচন রয়েছে। তার আগে পর্যন্ত কল্যাণ চৌবের কমিটিই থেকে যাবে ফেডারেশনে। তার পর যিনি আসবেন তাঁর কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তার মানে আপাতত এই মরসুমে যদি আইএসএল হয় তাহলে পুরো দমে হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে সিঙ্গল লেগ বা সব ভেন্যুতে ম্যাচ না ছড়িয়ে অল্প ক’টা ভেন্যুকেও বেছে নেওয়া হতে পারে খরচ কমাতে।
কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী শুধু আইএসএল নয়, একই পদ্ধতিতে করতে হবে আই লিগ। সেক্ষেত্রও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। তবে যাই হোক না কেন, আইএসএল এবং আইলিগ এখনও বিশবাও জলে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবর
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google
