জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: #মিটু বিতর্কে অভিযু্ক্ত এম জে আকবর বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন বুধবার। আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি মানহানির মামলা করবেন। সেই মতো দিল্লি আদালতে আবেদনও করেন তাঁর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার দিল্লি আদালত জানিয়েছে, যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা একাধিক নারীর বিরুদ্ধে এম জে আকবরের আনা মানহানির মামলা শুনবে তারা।
তবে এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন না এম জে আকবর। তাঁকে আদালতে হাজির থেকে বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকালই নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন এম জে আকবর। আগামী ৩১ অক্টোবর প্রাক্তন মন্ত্রীকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এম জে আকবরের আইনজীবী আদালতকে বলেন, প্রিয়া রমানির অভিযোগ তাঁর মক্কেলের খ্যাতি নষ্ট করেছে। আকবর জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ আনা হয়েছে। সাংবাদিক প্রিয়া রমানি তাঁর বিরুদ্ধে #মিটু ঝড় তোলেন। আকবর ঘটনাটিকে অহেতুক বলায় প্রিয়া জানিয়েছেন, সত্যের জয় হবে।
সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে বিদেশ সফর সেরে ভারতে ফিরেছেন এম জে আকবর। ফিরেই তিনি বলেন, ‘‘প্রিয়া রমানি বছরখানেক আগে এক পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখান থেকেই কুৎসা শুরু করেন। তিনি আমার নামও করনেনি। কারণ তিনি জানতেন যে, এটা একটা গল্প। আমি কিছু না করলে গল্পটাই বা আর কোথায়? কোনও গল্প নেই।’’
প্রিয়া রমানি এই মামলার বিরুদ্ধে লড়তে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আকবরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে ঝুঁকি নিয়েই মুখ খুলেছেন। সত্যই তাঁদের একমাত্র শক্তি।’’
‘এশিয়ান এজ’ সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন ১৯ জন মহিলা প্রিয়া রমানির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরাও আদালতে আকবরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময় আকবরের হাতে তাঁদের কারও কারও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। বাকিরা সে সব দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন।
গত ৪ অক্টোবর একটি টুইট করেন প্রিয়া রমানি। তিনি লেখেন, বছরখানেক আগে আমি একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম এক পত্রিকায়। সেখানে যার নাম করিনি, তিনি আসলে এম জে আকবর। মিটু বিতর্কের ঝড়ে তিনি নতুন করে হাওয়া দিয়েছিলেন। তার পর আকবরের পদত্যাগ নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। এমনকি, বিজেপির ঘরের ভিতরেও একই দাবি ওঠে। এর পর নাইজিরিয়া থেকে ফিরতেই আকবর পদত্যাগ করেন।