গলফ গার্ডেন থেকে উদ্ধার সংজ্ঞাহীন কিশোরী

গলফ গার্ডেন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  গলফ গার্ডেন কাণ্ডে আবার প্রশ্ন শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। যখন মেট্রোয় আলিঙ্গনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা শহর তখনই আরও একটি ঘটনা ঘটে গেল এই শহরের রাস্তায়। গলফ গার্ডেনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হল অচৈতন্য এক কিশোরী। যার গোটা শরীরে রয়েছে অজস্র আঁচড়ের চিহ্ন। যে কারণে ধর্ষণের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই কিশোরীকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্থ শুরু করেছে  পুলিশ

পুলিশের তরফে খবর আগের রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। যার জন্য যাদবপুর থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছিল। শুক্রবার সকালেই এক কাগজ বিক্রেতা মহিলা গলফ গার্ডেনের গোলাম মহম্মদ শাহ রোডে দু’টি বিল্ডিংয়ের মাঝে দেখতে পায় ওই কিশোরীকে পড়ে থাকতে। তিনিই চিৎকার জুড়ে দেন। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ এসে সেই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওই এলাকাতেই এই মেয়েটির বাড়ি। ছোটবেলায় মারা গিয়েছেন মা। বাবা সঙ্গে থাকেন না। দাদু-দিদার কাছেই বড় হওয়া। পড়ে নবম শ্রেনীতে। দাদু এক আবাসনে গার্জের কাজ করেন। তার মধ্যেই কষ্ট করে নাতনিকে টালিগঞ্জ গার্লস স্কুলে পড়াচ্ছেন। দাদু জানিয়েছেন, প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে তার পর প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে যেত ওই কিশোরী। কিন্তু বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি সে। পরিবারের লোকেরা ভেবে নিয়েছিল সরাসরি টিউশনে চলে গিয়েছে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ে। তার পরই যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানায়।

এক বয়স্ক যাত্রী তাঁদের ‘ভদ্র’ ভাবে দাঁড়াতে বলেন

পুলিশ এমনও বলছে, বৃহস্পতিবার সেই কিশোরী স্কুল এবং টিউশন কোথাও যায়নি। স্কুলের পোষাকেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, কিশোরীর সারা শরীরে রক্ত লাগা ছিল। যেখানে পড়েছিল সেখানেও রক্ত ছিল। জামা-কাপড় ছেড়া ছিল। আঁচড়ের সঙ্গে কাটার দাগও ছিল।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংজ্ঞাহীন ছিল সেই কিশোরী। বৃহস্পতিবার সারাদিন রাত সে কোথায় ছিল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার বয়ানও নেওয়া যায়নি। যে দুই আবাসনের মধ্যে তাকে পাওয়া গিয়েছিল তার সিসিটিভি ফুটেজের খোঁজ করা হচ্ছে। যে যুবকের সঙ্গে তাঁকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছিল তারও খোঁজ চলছে। সেই সম্পর্কের কারণে কিছু ঘটেছে কিনা সেটাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। আপাতত সঙ্কটে সেই কিশোরীর জীবন।