বৈশাখীকে ‘বন্ধু’ বলায় রে রে করে উঠলেন শোভনের ‘স্ত্রী’ রত্না

Mayorরত্না এবং শোভন।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  বেশ কিছু দিন ধরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ে একটি নাম নিয়ে বেশ গুঞ্জন চলছে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এই প্রথম মুখ খুললেন খোদ শোভন। জানিয়ে দিলেন, বৈশাখী তাঁর ‘বিপদের দিনে পাশে থাকা বন্ধু’। শুধু তাঁর নয়, বৈশাখী তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন বলেও এ দিন দাবি করেছেন শোভন।

যা শুনে মেয়রের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘বৈশাখী কোনও দিনই আমাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন না। ভবিষ্যতে কোনওদিন ওর নাম শুনতে চাই না।’’ এত দিন তাঁকে দেখা যেত, শোভনের নানা অভিযোগের জবাব দিতে, শান্ত ভাবে। কি‌ন্তু, শোভন এ ভাবে মুখ খোলার পর এ দিন কার্যত যেন তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।

‘‘বৈশাখী কোনও দিনই আমাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন না। ভবিষ্যতে কোনওদিন ওর নাম শুনতে চাই না।’’ রত্না চট্টোপাধ্যায়

বৈশাখী প্রসঙ্গে এ দিন পুরসভায় শোভনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার পর থেকে বৈশাখী যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা আমার স্ত্রী রত্নাও জানেন। আমি সে সব কখনওই ভুলব না। বৈবাহিক জীবনে রত্না এবং আমি যে ভাবে বৈশাখী ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত সাহায্য পেয়েছি, তা বাইরে থেকে কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন না।” কিন্তু, সেই ‘বন্ধুত্ব’ আর ‘সহযোগিতা’ নিয়ে এ দিন বিরূপ মন্তব্য শোনা যায় রত্নার গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও দিনই ওঁর কাছে সাহায্য চাইনি। ওঁর কাছে সাহায্য চাওয়ার আগে আমার মরে যাওয়া ভাল।’’

“বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার পর থেকে বৈশাখী যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা আমার স্ত্রী রত্নাও জানেন।” শোভন চট্টোপাধ্যায়

শোভন কলকাতা পুরসভার মেয়রের পাশাপাশি রাজ্যের তিনটি দফতরের মন্ত্রীও বটে। সম্প্রতি জল্পনা শুরু হয়, এই সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি দলও ছেড়ে দিতে চলেছেন। কিন্তু, সেই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এ দিন মেয়র জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করেছিলেন। যে যে দায়িত্ব তিনি সামলাচ্ছেন, সেগুলো তাঁকে চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বৈশাখী-প্রসঙ্গ ওঠেনি বলেই জানিয়েছেন শোভন।

সম্প্রতি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র রাজ্য কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ফলে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন ওয়েবকুপা-র সাধারণ সম্পাদক বৈশাখী। এ প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য, “ওয়েবকুপা দলের একটি শাখা সংগঠন। ওয়েবকুপা ভেঙে দল তা নতুন করে গড়লে, আমার কোনও বক্তব্য নেই। তবে, আমার সঙ্গে কারও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার জন্য বা পাশে দাঁড়ানোর জন্য ওয়েবকুপা ভেঙে দেওয়া হয়, আমাকে স্বাভাবিক ভাবেই তা মর্মাহত করে। আমি চাইব, এর প্রতিকার হোক।”