‘দিদি এ তো সবে শুরু, ভোট আসতে আসতে আপনি একা হয়ে যাবেন’: অমিত কটাক্ষ

‘দিদি এ তো সবে শুরু, ভোট আসতে আসতে আপনি একা থেকে যাবেন’

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ‘দিদি এ তো সবে শুরু, ভোট আসতে আসতে আপনি একা হয়ে যাবেন’, মেদিনীপুরের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ। যদিও তার পাল্টায় তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তোপ দেগেছে‌ন অমিতের বিরুদ্ধে।

অমিত শাহের উপস্থিতিতে এ দিন ওই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ মোট ১০ বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে ৭ জনই তৃণমূলের। এক জন তৃণমূল সাংসদও রয়েছেন তালিকায়। এ ছাড়া তৃণমূলের মাঝারি সারির অনেক নেতাই বিজেপি-তে যোগ দিয়ে অমিতের মঞ্চেই ছিলেন। ওই যোগদান পর্বের পর অমিত কটাক্ষ করে নিজের ভাষণে মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘দিদি এ তো সবে শুরু, ভোট আসতে আসতে আপনি একা হয়ে যাবেন’।

অমিত শাহ মেদিনীপুরের সভা থেকে যে কথা বললেন:

আজকের বিশাল জনসমাগম এবং প্রচুর মানুষের সমর্থন থেকে এটা স্পষ্ট যে, এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গঠন করবে।

আমাদের পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি বঙ্গ সফরে এলে তার গাড়ির উপর হামলা করা হয়।দিদি আপনি কি ভাবেন,এসবের জন্য আমরা ভয় পেয়ে যাবো? ৩০০-র অধিক কার্যকর্তার প্রাণ গেছে। কিন্তু দিদি শুনুন যত হিংসা করবেন বিজেপির কার্যকর্তা তত বেশি উৎসাহের সাথে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে সহায়তা মোদি সরকার পাঠিয়েছিল সেটাও তৃণমূলের লোকেরা লুঠ করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে গরিব মানুষের জন্য ৮ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পাঠিয়েছেন, তাও তৃণমূলের লোকেরা লুঠ করে নিয়েছে।


(বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

মমতা দিদি ১০ কোটি বাঙালির ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন না, কোটি কোটি যুবকের ভবিষ্যতও তিনি দেখতে পান না । তাঁর কাছে তার ভাইপোই সব কিছু, তিনি সব সময় ভাবেন তাঁর ভাইপোকে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী বানাবেন।

বাংলায় যারা বিজেপিতে যোগদান করছে, তারা ‘মা-মাটি- মানুষ’ স্লোগানে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু মমতা দিদি তাকে তোলাবাজ, স্বজনপোষণ ও ভাইপোবাজে রূপান্তর করেছে। দিদি, এতো সবে শুরু, নির্বাচন আসতেই আপনি একা হয়ে যাবেন। আমি পশ্চিমবঙ্গে যে সুনামি লক্ষ করছি, তা হয়তো আপনি কল্পনাও করতে পারেননি।

আমি পশ্চিমবঙ্গের জনতাকে মাত্র এটুকুই বলতে চাই যে, এ রাজ্যের কৃষক এবং শ্রমিকের সমস্যার সমাধানই হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার বানানো। রাজ্যে প্রতিদিন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে নিস্তার বিজেপি সরকারই দিতে পারে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)