জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মঙ্গলবার গভীর রতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি (Anubrata Mondal Bodyguard)। ঘটনাটি ঘটে ইলামবাজার এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। মৃত ২ জনের মধ্যে একজন দেহরক্ষীর মেয়ে। জানা গিয়েছে সপরিবারে দুর্গাপুর থেকে ফিরছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল দুটো গাড়ি। একটি গাড়িতে কয়েকজনে সঙ্গে ছিল সায়গলের ছোট মেয়ে। সেই গাড়িটিই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং শিশু কন্যার মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন সায়গল, তঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ে। সেই গাড়িটি পিছনে থাকায় বড়সর আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পান তাঁরা। তবে তাঁদের গাড়ির চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
ওই সময় বোলপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। ইলাম বাজার এলাকায় ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাড়িটির। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গাড়িটি থেকে উদ্ধার হওয়া আর এক ব্যক্তির নাম মাধব দাস বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন গাড়ির চালক। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এই মুহূর্তে সিবিআই-এর কড়া নজরে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে বার বার ডাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও হাজিরা দেননি। প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে সময় হাসাপাতালে ভর্তি হন তিনি। আপাতত তিনি রয়েছের কলকাতাতেই নিজের ফ্ল্যাটে। তার আগে ১৭ দিন এসএসকেএম-এ ভর্তি ছিলেন। কিন্তু সিবিআই-এর তলবে হাজিরা দেননি এখনও। গরু পাচার মামলায় তাঁর নাম রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর পাশাপাশি সায়গলকেও সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। কারণ অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী তিনি। যে কারণে এই দুর্ঘটনা নিয়ে অনেকেই অন্য গন্ধ পাচ্ছেন। এদিকে অসমর্থিত সূত্রের খবর দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে তেমন কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। যদি সত্যিই টাকা পাওয়া গিয়ে থাকে, তাহলে এত টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়েও তদন্তে প্রশ্ন উঠবে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)