জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে করলেন এক দীর্ঘ পোস্ট। তা নিয়ে আবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাবুলকে কটাক্ষ করেছেন বাবুলকে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মন্ত্রিসভাতেই জায়গা পেয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ। ২০১৯ সালেও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতে মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১-এ এসে সেই মন্ত্রিত্বই চলে গেল। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন, তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল আগেই।
বুধবারই মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়। আগে থেকেই বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক নেতৃত্বের নাম মোদীর নতুন মন্ত্রীর তালিকায় ঘোরাফেরা করছিল। আগামী বছর যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট, মূলত সেই সব রাজ্য থেকে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা ছিল। সঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনও বিজেপির লক্ষ্য। কিন্তু বাংলার দুই মন্ত্রীরই যে মন্ত্রিত্ব যাবে, তা ঘূণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি। বাবুলের সঙ্গে মন্ত্রিত্ব গিয়েছে দেবশ্রী চৌধুরীরও। তবে ২ জন বাদ পড়লেও মোদীর মন্ত্রিসভায় নতুন চার জন ঠাঁই পেয়েছেন। জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং সুভাষ সরকার।
৫৩-র বদলে ৭৪ জনের বর্ধিত মন্ত্রিসভা ঘোষিত হওয়ার পরেই বাবুল ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ, যেখানে ধোঁয়া বেরোচ্ছে, সেখানে অবশ্যই আগুনের অস্তিত্ব রয়েছে।’ এর পরেই তাঁর পোস্টে বাবুল লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি।’ কিন্তু এখানেই বাবুলের খোঁচা, যেটা তিনি বন্ধনীর মধ্যে লিখেছেন। বাবুলের লেখা— (আমি এই পদত্যাগপত্র আগেই জমা দিয়েছি। আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। হয়তো এ ভাবে জমা দেওয়াটা সঠিক পদ্ধতি নয়।) বাবুলের সেই পোস্ট…
এর পর বাবুল যদিও প্রধানমন্ত্রীকে এত দিন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য রেখে দেশকে সেবা করতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গায়ে কোনও দাগ লাগতে না দিয়ে তিনি যে বাবে নিজের সাংসদ এলাকার জন্য কাজ করেছেন, তা নিয়ে বাবুল নিজের গর্বের কথাও লিখেছেন। বাংলা থেকে যাওয়া মোদীর মন্ত্রিসভার নতুন মুখদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাবুল। লিখেছেন, ‘নিজের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু বাংলা থেকে যাঁরা নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, তাঁদের জন্য আমি খুব খুশি।’
তবে বাবুলের এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘তাঁকে যদি স্যাক করা হত, তা হলে কি ভাল হত? পদ্ধতি মেনে হয়েছে। আপনি পদ ছেড়ে দিন, অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। আপনাকে অন্য কাজে লাগানো হবে। সবাই তাই করেন। ১২ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কেউ তো এমন লেখেননি? কাজের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। দলের কাজ করছি। বিধায়ক, সাংসদ যা হয়েছি, তা দলের জন্য।’’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)